শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্যালাইন সংকট

মুনাফাখোরদের থামান

স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অসৎ ব্যবসায়ীরা ডেঙ্গু রোগীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। বাড়তি মুনাফার লোভে দানা বেঁধে উঠেছে মজুদদারির অপকর্ম। ওষুধ কোম্পানিগুলো বলছে, ডেঙ্গুজ্বরের কারণে স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে। এ চাহিদা মেটাতে তারা ৪৪ লাখের বদলে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করছে। চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন সন্তোষজনক হওয়ায় স্যালাইনের সংকট থাকার

কথা নয়। তবে ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উৎপাদনকারী কোনো কোনো ওষুধ কোম্পানি স্যালাইনের সঙ্গে অন্য ওষুধ কিনতে বাধ্য করছে। দুই মাস ধরে স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না এমন অভিযোগও করেছে তারা। স্যালাইন সংকটের কারণে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। মুনাফার লকলকে জিবের কাছে হার মেনেছে মানবিকতা। স্যালাইনের অভাবে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। জীবন রক্ষাকারী পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যারা মুনাফাখোরিতে লিপ্ত তারা মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের পরকাষ্ঠা দেখাচ্ছে। তাদের অপকর্ম জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এ নোংরা জীবদের আইনের আওতায় আনা সচেতন মানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। স্যালাইনের কৃত্রিম সংকটের সঙ্গে কারা জড়িত তা উদ্ঘাটনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মহাপরিচালকের সামনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওষুধ কোম্পানি ও বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা। অধিদফতরের পক্ষ থেকে চালানো অভিযানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রমাণ মিলেছে। ৮৭ টাকার স্যালাইন ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে। আমরা আশা করব কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির সিন্ডিকেট ভাঙতে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। দোষীদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎপাদন থেকে বিপণন সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে সক্রিয় হতে হবে জরুরিভাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর