রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিম আলু পিঁয়াজের দাম

সরকারের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম মানছেন না ব্যবসায়ীরা। সোজা কথায় সরকারের কর্তৃত্ব পরোয়া করছেন না তারা। ডিম, আলু, পিঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তা বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সাফ কথা, তারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য চাইলে আগে পাইকারি বাজারে হাত দিতে হবে।

দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার এক দিন পর রাজধানীর সব বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। সরকার নির্ধারিত ৩৫-৩৬ টাকা হুকুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পিঁয়াজ ৬৪-৬৫-এর বদলে বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা কেজি। আর ডিমের দাম প্রতিটি ১২ টাকা করে ৪৮ টাকা হালিতে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। ধনী-গরিব সবার রান্নাঘরের আনাজ হিসেবে আলুর কদর রয়েছে। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। আলুর দাম বাড়ানোর পেছনে শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। হিমাগারে মজুদ আলু ও উৎপাদনের তথ্য যাচাই করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে মুনাফালোভী চক্র আলু মজুদ করে দাম বাড়াচ্ছে। গত বছরে এই সময়ে প্রতি কেজি আলু সর্বনিম্ন ২৪ ও সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগেও আলু ৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলুর পাশাপাশি গরিব মানুষের আমিষ বলে পরিচিত ডিমের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। দেশে এখন প্রতি ডজন ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ভারত থেকে ডিম আমদানি করলে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় এক ডজন ডিম কেনা যাবে। পিঁয়াজ আমদানির কথা বলা হলেও সে বিষয়ে উদ্যোগ না থাকায় মুনাফাখোররা যা ইচ্ছা তা-ই করার সাহস দেখাচ্ছে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপণ্য ডিম, পিঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা বাস্তবায়নের ব্যর্থতায় প্রশ্ন উঠেছে- সরকার ও বাজার সিন্ডিকেট, কার হাত বড়? এ ব্যর্থতা সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নিজেদের স্বার্থেই সরকার ঘোষিত দামে তিনটি নিত্যপণ্য বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করা হবে- আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর