শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সংকট

দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিন

দেশের আদালতগুলোয় জুডিশিয়াল-নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সংকটে ভোগান্তির মুখে বিচারপ্রার্থীরা। বিলম্বিত বিচার এমনিতেই দেশের বিচারব্যবস্থার ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জুডিশিয়াল-নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সংকট বিচারপ্রার্থীদের বাড়তি বিড়ম্বনায় ফেলছে। সংকটের কারণে অতিরিক্ত দামে স্ট্যাম্প কোর্ট ফি কিনতে হচ্ছে। অনেক সময় কোর্ট ফি না পেয়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে মামলা দাখিল করছেন তারা। পরে কোর্ট ফি সংগ্রহ করে তা আদালতে জমা দিতে হচ্ছে। স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের অভিযোগ, ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে দু-তিন মাসেও চাহিদা অনুযায়ী কোর্ট ফি-স্ট্যাম্প পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অনেক সময় বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সংকট মোচনে বিশেষ ব্যবস্থায় জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সরবরাহ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আদালত প্রাঙ্গণে সাধারণত ভেন্ডার ব্যবসায়ীরাই কোর্ট ফি ও জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সরবরাহ করেন। বর্তমানে বাজারে ৪, ৫ ও ১০ টাকার কোর্ট ফির সংকট বেশি। এগুলো তেমন পাওয়া যাচ্ছে না, পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। ১০ টাকার কোর্ট ফি নেওয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা। বড় বড় কোর্ট ফির চালান ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ফিরে আসতে হচ্ছে। আর ১০০ টাকার স্ট্যাম্প ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় বেশি টাকা দিয়েও স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সংকটাপন্ন অবস্থার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় যেসব এলাকায় কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্পের অভাব রয়েছে সেসব জায়গায় আপাতত এগুলো ছাড়াই মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে। শুনানির সময় কোর্ট ফি ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প দাখিল করা হবে, এ শর্তে ওই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফির সংকটে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল কোর্ট ফি ছাপিয়ে ব্যবসা করছিল। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে সারা দেশের আদালতে নকল কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প শনাক্ত ডিভাইস বসানোর পর তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি সংকটের দ্রুত সমাধান হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর