মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুলন্ত সেতু

ভোলার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ

দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে দ্বীপজেলা ভোলার সড়কপথের বিচ্ছিন্নতা আর থাকছে না। ভোলার সঙ্গে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের সংযোগ স্থাপনে ঝুলন্ত সেতু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভারতের রাজীব গান্ধী সমুদ্রসেতু, চীনের সুটং ইয়াংজি নদীসেতু, ফ্রান্সের মিলাউ ভায়াডাক্ট কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো-ওকল্যান্ড বে ব্রিজের মতো বাংলাদেশেও কেবল স্টেড বা ঝুলন্ত তারের সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো প্রস্তাবিত ঝুলন্ত সেতু তৈরি হবে মেঘনা-ধনাগোদা নদীর ওপর। মতলব উত্তর-গজারিয়া সড়কে এ সেতু নির্মাণ হলে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা এ তিন জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা। এর বেশির ভাগ ৩ হাজার ১০২ কোটি টাকা দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। সে দেশের এক্সিম ব্যাংক ও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড থেকে প্রকল্প ঋণ হিসেবে এ অর্থ পাওয়া যাবে। বাকি ৬৬০ কোটি টাকা সরকারি অনুদান হিসেবে নেওয়া হবে। প্রস্তাবিত সেতুটি নির্মিত হলে ওই তিন জেলার মানুষ সহজে ও স্বল্পসময়ে রাজধানী ঢাকাসহ পাশের এলাকায় যাওয়া-আসা করতে পারবেন। এ ছাড়া সেতুটির মাধ্যমে গজারিয়া ও ভবেরচর হয়ে চাঁদপুর ও ঢাকার মধ্যে ভারী যানবাহন চলাচলের বিকল্প পথ তৈরি হবে। তীব্র স্রোত বা প্রচন্ড ঢেউ, খাড়া উপত্যকায় যেখানে স্প্যান বসাতে সমস্যা হয়, সেখানে এ ধরনের কেবল স্টেড সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুর দুই পাশে কেন্দ্রীয় টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত কেবল বা তার মূল সেতুর ডেকের সঙ্গে এমনভাবে যুক্ত করা হয়, যা পুরো সেতুর ভারসাম্য রক্ষা করে। এ তারগুলো সেতুতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে এবং সেতুর কাঠামোজুড়ে সমানভাবে ওজন বিতরণ করতে সহায়তা করে। ঝুলন্ত সেতুটি তৈরি করা হলে দ্বীপজেলা ভোলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। শিল্পায়নের পাশাপাশি পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের এক বড় অংশের মানুষও উপকৃত হবে ঝুলন্ত সেতুর কল্যাণে।

সর্বশেষ খবর