বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উন্নয়নের চমক

উদ্দেশ্য নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া

নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দল দুই কৌশল বেছে নিয়েছে। নির্বাচনের আগে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ে বিরোধী দল বেছে নিয়েছে আন্দোলনের পথ। অন্যদিকে উন্নয়ন চমকে বিমুগ্ধ করে জনগণকে নিজেদের পক্ষে রাখার কৌশল বেছে নিয়েছে সরকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একে একে খুলে দেওয়া হচ্ছে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো। এর মধ্যে রয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল, পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ। এ ছাড়া উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটির কিছু প্রকল্প। এর ফলে সহজ হবে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা। বাড়বে কর্মসংস্থান। খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বৈতরণী পার হতে এসব মেগা প্রকল্পকে ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্প তরুণ ভোটারদের যেমন আকৃষ্ট করবে, তেমনি এ অর্জনগুলো নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়ও সুবিধা পাবে বলে আশা করছেন তারা। ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ নেতারা ভোটের আগে উন্নয়ন চমক দেখিয়ে নিজেদের পক্ষে জোয়ার সৃষ্টি করতে চান। এ উদ্দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে। এসব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। জাতীয় পর্যায়ে নির্মিত মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। স্থানীয়ভাবে প্রতিশ্রুত বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করা হবে। নির্বাচনের আগে জনগণের কাছে ঠাঁই পেতে বিরোধী দল মাঠে থাকার চেষ্টা করে এবং এটি বিরোধীদলীয় রাজনীতির ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের সব কর্মসূচির জবাব দেওয়া হচ্ছে উন্নয়নের চমক দেখিয়ে। দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, নিজেদের ভাগ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন চায়। জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ক্ষেত্রে কতটা কাজে আসবে তা এখন দেখার বিষয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর