প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর এ-সংক্রান্ত প্রচেষ্টায় উন্নয়ন অংশীদারদের এগিয়ে আসতে হবে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ অব কমিউনিটি ক্লিনিক : ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ এচিভিং ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ ইনক্লুসিভ অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজঅ্যাবিলিটি’ শীর্ষক উচ্চস্তরের সাইড-ইভেন্টের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান তাৎপর্যের দাবিদার। স্মর্তব্য, বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এ বছর বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন বলে ভাবা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০০০ সালে চালু হয় স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর প্রতিহিংসার শিকার হয় কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মসূচি। বন্ধ করে দেওয়া হয় কয়েক কোটি মানুষকে সেবাদানের বৈপ্লবিক এ ব্যবস্থা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে চালু হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। গত ১৬ মে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা : সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে গৃহীত এ প্রস্তাবটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। বাংলাদেশ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের স্বীকৃতি দিয়ে এ উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনস্বরূপ জাতিসংঘের ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র ওই প্রস্তাবে কো-স্পন্সর ছিল। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনে আগ্রহী। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক তাদের জন্য আইকন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আশা করা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবে।