শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইলিশ রপ্তানি

সম্পর্ক নিবিড়করণে সহায়তা করবে

দুর্গাপূজা উপলক্ষে শর্ত সাপেক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ রপ্তানির সুযোগ পাবেন ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিকারকরা। দেশের বাজারে ইলিশের জোগান কম থাকা এবং দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০১২ সালে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে শারদীয় উৎসব উপলক্ষে শর্ত সাপেক্ষে প্রতি বছর সীমিত পরিমাণে এই সুস্বাদু মাছটি পাশের দেশে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। ভারতের দিক থেকে এবারের পূজায় ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের চাহিদা থাকলেও সরকার তার চেয়ে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন কম রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ইলিশ রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। শুধু দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১৫ দিন বা এক মাসের জন্য কিছু ইলিশ রপ্তানি হয়। সারা বছর প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয় দেশে। তা থেকে বড়জোর ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা যায়। যা দেশের দুই দিনের উৎপাদনও না। প্রতি প্রতিষ্ঠান ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সুযোগ পাবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না। পণ্য জাহাজীকরণের পর কাগজপত্র সরকারি সংশ্লিষ্ট দফতরে মেইলে জমা দিতে হবে। গত বছর ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান রপ্তানিই করেনি। এ বছর রপ্তানি টার্গেট ৬৫০ টন কম হলেও অনুমতিপ্রাপ্ত রপ্তানিকারকরা যাতে যথাযথভাবে সে দায়িত্ব পালন করেন সেদিকে নজর রাখা হবে। স্মর্তব্য, বাংলাদেশ ভারত বাণিজ্যের ভারসাম্য ভারতের দিকে ঝুলে আছে। দুই দেশের বৈঠকে বাণিজ্যবৈষম্য কমানো অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতে আরও বেশি পণ্য আমদানি করা হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এ বিষয়ে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্ট পণ্য আমদানি করছে। কিন্তু তাতেও বাণিজ্য ঘাটতি খুব একটা কমছে না। ভারতে বাংলাদেশ থেকে যে ইলিশ যাচ্ছে তা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন নয়, ইলিশ কূটনীতির মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক নিবিড়করণের সহায়ক হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর