সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশন কীভাবে শক্তিশালী

অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ

নির্বাচন কমিশন কীভাবে শক্তিশালী

১. পেছন ফিরে দেখা : ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানে ইলেকটোরাল রিফর্মস কমিশন উচ্চ আদালতের একজন বিচারকের নেতৃত্বে গঠিত হয়। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ‘পাকিস্তানে নির্বাচন ছিল এক প্রহসন, এক উপহাস এবং এক প্রতারণা। ভোটার তালিকায় ব্যাপক জাল ভোট এবং অন্যায় প্রভাব, ভয় এবং সব ধরনের প্ররোচনা দিয়ে ভোটের বাক্সে ভোট গোপনে ভরে দেওয়া হয়।  ক্ষমতাসীন দলের হুকুমে কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করে এবং ভোটারদের সঙ্গে নানা প্রতারণা করা হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর দেশটিতে কোনো অবাধ সাধারণ নির্বাচন হয়নি।’ ১৯৬৯ সালে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান তীব্র গণআন্দোলনে বিদায় নেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় আসেন। পাকিস্তানের সামরিকপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন এবং প্রথমবারের মতো ‘এক ব্যক্তি একভোট’ এর ভিত্তিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ১৯৬৯ সালের ২৮ জুলাই তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের একজন বাঙালি বিচারক বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান বলেন, ‘তার সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’ ৩০ মার্চ তারিখে আইনগত কাঠামো (এলএফও) ঘোষণা করেন, যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করেন।

বিচারপতি আবদুস সাত্তার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানতে চান, নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ করতে হলে বেসামরিক-সামরিক প্রশাসন কোনো দিক থেকে হস্তক্ষেপ হবে কি না? জেনারেল ইয়াহিয়া খান বলেন, পাকিস্তানে এই প্রথমবারের মতো একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ‘এ ক্ষেত্রে আপনি স্বাধীন।’ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন আপনি সবটুকু সহায়তা পাবেন।

২. এক শত বাষট্টি সিট পেলাম কীভাবে : বিচারপতি সাত্তারের সামনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় ছিল, কীভাবে আসন সংখ্যা বণ্টন হবে? সিদ্ধান্ত নিলেন, ১৯৬১ সালের আদম শুমারি অনুসারে জনসংখ্যা ভিত্তিতে নয়, প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটারদের সংখ্যানুপাতে। সেক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১২ লাখ ৯৩৫ জন। পশ্চিম পাকিস্তানের ভোটার ২ কোটি ৫২ লাখ ৬ হাজার ২৬৩ জন। অনুপাতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানে ১৬২ জন এবং পশ্চিম পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ মিলে ১৩৮টি। ১৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান সাতটি আসন পায়।

৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেন নির্বাচনে আসতে না পারে তার জন্য এলএফও-তে এমন সব শর্ত আরোপ করা হয় যা ছিল ছয় দফা ও এগারো দফা বিরোধী। সামরিক কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল, শেখ মুজিব নির্বাচন বর্জন করবে। কিন্তু সবাইকে হতচকিত করে ঘোষণা দিলেন তিনি ও তাঁর দল নির্বাচনে অংশ নেবেন। সামরিক কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হলেন যেমনটি মওলানা ভাসানী করেছেন। মেজর সিদ্দিক সালিক পূর্ব পাকিস্তানের গোয়েন্দাপ্রধান। লিখেছেন- ‘শেখ মুজিব বলেছেন, জনগণের রায় পেলে তিনি এলএফও টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলবেন। টেপে ধারণকৃত এ কথা ইয়াহিয়া খানকে শোনানো হয়। শেখ মুজিব যাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তার চক্রান্ত শুরু হয়। সামরিক জান্তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল পূর্ব পাকিস্তানে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ বড়জোর ৮০টি সিট পাবে। গোয়েন্দা সংস্থার নানাবিধ চক্রান্ত ও পশ্চিম পাকিস্তানের দলগুলোকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৬০টি আসনে বিজয়ী হয়। এটা সম্ভব হয়েছিল, বিচাপরতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে গঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কারণে। বঙ্গবন্ধু এ নির্বাচনকে গণভোট হিসেবে চ্যালেঞ্জ নেন।

৪. ভারতের নির্বাচন কমিশন : প্রতিবেশী ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যর দিকে আমরা চোখ বুলাতে চাই। ভারতে সর্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তিস্বরূপ। এর মধ্যেই জনগণের সার্বভৌম, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আকাক্সক্ষা প্রকাশিত হয়। গণতান্ত্রিক সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত। সীমিত ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত সরকার কোনো অবস্থাতেই সমগ্র জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। সরকার অল্প ভোটে নির্বাচিত হয়ে অধিকাংশ জনগণ বা ভোটারদের ওপর লাঠি ঘুরিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতন ঘটে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভারতের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য নেতাদের ভাবমূর্তি জনগণের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ১৯৬৭, ১৯৭১, ১৯৮০ সালের নির্বাচনে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর ভাবমূর্তি ছিল কংগ্রেস সরকার গঠনের প্রধান সম্পদ। এ থেকে এটাও অনুমিত হয়, ভারতের রাজনীতি ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। দলের পরিবর্তে ব্যক্তি প্রাধান্য লাভ করেছে। ফলে ব্যক্তি পূজা ও বন্দনা প্রসারিত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

৫. প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ : ১৯৯০ সালে নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারের লক্ষ্যে ভারতের সংবিধানে ২২৪ (২) সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয়। ওই প্রস্তাব অনুসারে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, লোকসভার অধ্যক্ষ এবং লোকসভার বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দান করবেন। এমনকি লোকসভায় কোনো স্বীকৃতবিরোধী দল না থাকলেও রাষ্ট্রপতি বৃহত্তম বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দান করেন। ভারতের নির্বাচনী কমিশনকে ব্যাপক অর্থে ভারতীয় গণতন্ত্রে অন্যতম রক্ষাকবজে পরিণত করা হয়েছে। তাত্ত্বিক এ ধারণা অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। নিরপেক্ষ ও সৌহার্দপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ব্যতিরেকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার অভিপ্রায় অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। কেবল স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন শক্তিশালী কমিশনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে। ভারতের সংবিধান ও আইনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দৃঢ়ভাবে বলবৎ করার ব্যবস্থা যুক্ত হয়েছে। সরকারি স্বেচ্ছাচার প্রতিরোধের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। ভারতের সংবিধানে ৩২৪(১) অনুচ্ছেদে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন পালন করেন। ভারতের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করে থাকেন।

৬. বাংলাদেশের সংবিধান : সংবিধানে বলা হয়েছে, ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে স্বাধীন থাকবে। ১১৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারী প্রয়োজন হবে নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করলে রাষ্ট্রপতি সেরূপ কর্মচারী প্রদানের ব্যবস্থা করবেন। এমনকি নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ, আসন বণ্টন সম্পর্কিত যে কোনো আইনের বৈধতা আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।’ সংবিধান ও বিধিতে নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষমতার মূল কথা নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যেন দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একা এ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। সে লক্ষ্যে সংবিধানে লিখিত হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে।’ অর্থাৎ তখনই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব যখন সব নির্বাহী বিভাগ সম্পূর্ণভাবে তার কর্তব্য পালন করবে। এর অর্থ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ অধিকারী থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে কোনোটাই সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। নির্বাহী বিভাগ কর্তব্য পালনের স্থলে কর্তৃত্ব বহাল রেখেছে। ফলে বাংলাদেশের জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

৭. কমিশন কীভাবে আরও শক্তিশালী হবে : সুষ্ঠু নির্বাচনে কতিপয় বাধা হলো- অর্থ ও পেশিশক্তি, নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নির্বাচনের আচরণবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ, প্রার্থীদের অবাধ প্রচারের সমতা, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল করে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ব্যালট ছিনতাই এবং প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা ও এজেন্টদের কাছে লিখিত ফলাফলের কপি প্রদান ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রশাসন ও পুলিশের দলীয়করণ। ইসি অবশ্য বলেছেন, ‘পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে আর দায়িত্ব পালন করব না।’ ৮. অভিমত : আচরণ বিধিকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট দলকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে কার্য পরিচালনার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ, নিষ্ঠাবান ও দক্ষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবেন। যেমনটি ১৯৯১ সালে ভারতীয় লোকসভার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন স্থগিত, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ও ভোট গণনা, এমনকি নির্বাচন বাতিল করে এবং নতুন করে নির্বাচনের পুনঃব্যবস্থা করতে পারেন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বিধিমালা অনুযায়ী এসব প্রতিবন্ধকতা ২৪ ও ২৫ অধ্যায়ে যেসব ধারা আছে তার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব এবং সব নির্বাহী বিভাগে করণীয় বা কর্তব্য হলো তা সর্বোতভাবে সহায়তা করা। নির্বাহী সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম অবহেলা করলে তা হবে সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল।

ব্রিটেনে সাংবিধানিক সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও শক্তিশালী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন ওয়ার্ক করা ব্যতীত অন্য কিছু করতে পারেন না। বাংলাদেশের দিকে তাকালে সেখানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে অথবা নির্বাহী প্রধানের আজ্ঞাবহ করা হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান দলীয়করণ। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুতার বিষয়ে শিশুপাঠ্য নামতা সমস্বরে যতবারই  উচ্চারিত হোক, বাস্তবে তা কাজে আসবে না। ক্ষমতাসীন দলের নির্দেশ অমান্যকারী স্বার্থান্ধ সন্ত্রাসী ও কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ ও প্রশাসন তা হতে দেবে না।  এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ব্যাঘ্রের গর্জন ও থাবা ব্যবহার করতে হবে। এ অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কীভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবেন তা আমার বোধগম্য নয়। অতীতের রক্তাক্ত তিক্ততা ভুলে বর্তমান রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক মহাসংকটে ক্ষমতাসীন সরকারকেই এগিয়ে এসে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কীভাবে করবেন তার দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।

 

লেখক : ’৭২ সালের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী

সর্বশেষ খবর