মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ

ডলার সংকট মোচনে ভূমিকা রাখবে

ডলার সংকট ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করা যায়। এ সিদ্ধান্ত বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করবে। ডলার সংকট কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। স্মর্তব্য, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর সরকার তিন বন্ডে প্রবাসীদের জনপ্রতি বিনিয়োগ সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধ করে দেয় পুনর্বিনিয়োগ। ফলে তিনটি বন্ডে প্রবাসীদের বিনিয়োগ কমেছে। অন্যদিকে হাতে থাকা বন্ডগুলো তারা ভাঙাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ডলার বাজারের অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রিমিয়াম বন্ডের মুনাফার হার কমানোয় সরকারি তিনটি বন্ডে প্রবাসীদের নিট বিনিয়োগ ৪৯ মিলিয়ন ডলার কমেছে। এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ ও সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ার পক্ষে অভিমত রেখেছেন। তাঁর মতে, বিনিয়োগসীমা ও সুদের হারে ক্যাপ করে রাখার কোনো মানে হয় না। কারণ দেশে ডলার সংকট বিরাজ করছে। ডলারের প্রয়োজনও আছে। তাই যখন যেটা প্রয়োজন তখন সেটা না করলে কোনো লাভ হয় না। যখন বন্ডে বিনিয়োগসীমা ও সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল তখন বিশ্বব্যাপী বন্ডে বিনিয়োগের সুদের হার ছিল শূন্য। এখন বিশ্বব্যাপী বন্ডের সুদহার ৫ থেকে ৬ শতাংশ। তাই বন্ডে বিনিয়োগসীমা, সুদহার ও পুনর্বিনিয়োগ বন্ধ রাখা যৌক্তিক বলে মনে হয় না। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আয় যখন হ্রাস পেয়েছে এবং দেশ যখন ডলার সংকটে কঠিন অবস্থায় তখন প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ উৎসাহীকরণের উদ্যোগ বাস্তবসম্মত বলে মনে করা যেতে পারে। দেশে ১৯৮৮ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এবং ২০০২ সালে তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড চালু হয়। তিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়া সাপেক্ষে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এ বন্ড তিনটিতে সাড়ে ৬ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যেত। যদিও তারপর গড় সুদের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ উন্মুক্ত হলে প্রবাসীরা এতে বেশি বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন।

সর্বশেষ খবর