বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্যটন পরিবেদনা

পর্যটনবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করুন

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি এটি একটি হৃদয়ছোঁয়া দেশাত্মবোধক গান। গানটি দেশের আমজনতার হৃদয় ছুঁয়ে গেলেও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের হৃদয় ছুঁতে পারছে না। বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের যে তেমন আকর্ষণ নেই তার প্রমাণ বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে পর্যটনে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। আর এশিয়ার ৪৬টি দেশের মধ্যে ৪২তম। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে ৬টির স্থান রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের স্থান চতুর্থ। পর্যটন র‌্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত মুন্ডি ইনডেক্সের তথ্যে ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুই যুগে ৫২ লাখের কিছু বেশি বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালে সবচেয়ে বেশি ৪ লাখ ৬৭ হাজার বিদেশি পর্যটক এসেছেন। আর বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি পর্যটক এসেছিল ৬ লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন। কিন্তু ২০২০ সালে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ জন এবং ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জন বিদেশি পর্যটক আসেন। করোনা শেষে প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিদেশি পর্যটকের ঢল নামলেও বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাসহ বেশ কিছু কারণে দেশের পর্যটন স্থানগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তথ্যে, বাংলাদেশে ঘুরতে আসা বিভিন্ন দেশের পর্যটকের মধ্যে আছেন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্য, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নেপাল ও সৌদি আরবের মানুষ। এই পর্যটকরা বেশি ঘুরতে যান সুন্দরবন, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। বিদেশ থেকে যারা আসেন তাদের খাতাপত্রে পর্যটক হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে এ দেশে আসেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেকে আসেন বিদেশি পাসপোর্ট নিয়ে।  ফলে দেশে আগত প্রকৃত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কত তা বরাবরই একটি বিতর্কিত বিষয়। পর্যটনবান্ধব পরিবেশ না থাকায় এ বিষয়ে শত উদ্যোগেও কাজ হচ্ছে না। পর্যটনে অগ্রগতি চাইলে সেদিকে তাকাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর