বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যাটারিচালিত রিকশা

চাঁদাবাজরাই ওদের রক্ষক

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১০ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা অলিগলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা পথেঘাটে চলছে রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র শ্রমিক নেতা নামধারী এবং পুলিশের কিছু সদস্যের আনুকূল্যে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরজুড়ে ১০ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা চলছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে এসব রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় প্রভাবশালী এবং পুলিশের কিছু সদস্য নির্দিষ্ট চাঁদার বিনিময়ে এসব রিকশা চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা রিকশা মালিক ও চালকদের সমিতির নাম ভাঙিয়ে এসব চাঁদা আদায় করা হয়। নগরীর নাসিরাবাদ, পলিটেকনিক, হিলভিউ, হামজারবাগ, চকবাজার, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, হালিশহর, ইপিজেড, পতেঙ্গা, সদরঘাটসহ অন্তত ২০টি প্রান্তিক এলাকায় এসব রিকশার দাপট সবচেয়ে বেশি। সরকারদলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কিছু রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতা, স্থানীয় প্রভাবশালীরা ‘রিকশা চলাচলে কেউ বাধা দেবে না’ এমন আশ্বাস দিয়ে প্রতিটি রিকশা থেকে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে আদায় করে। সেই হিসাবে নগরীর ১০ হাজার রিকশা থেকে প্রতিদিন ১ কোটি টাকার বেশি চাঁদা ওঠে। পরে ওই চাঁদার ভাগ সংশ্লিষ্টদের কাছে চলে যায়। চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি সারা দেশের একটি সাধারণ চিত্র। এমনকি রাজধানীতেও প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট রয়েছে। সর্বত্রই এ অবৈধ রিকশার চলাচল সম্ভব হচ্ছে চাঁদাবাজ চক্রের যোগসাজশে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ভাষ্য, তারা ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালান। দিনে এগুলো মূল সড়কে এলেই জব্দ করা হয়। তবে লোকবল স্বল্পতার কারণে অলিগলিতে সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এমন ভাষ্য যে সারা দেশের ট্রাফিক পুলিশের তা সহজেই অনুমেয়। তবে বাস্তব ব্যাটারিচালিত রিকশার সঙ্গে পকেট স্ফীত হওয়ার বিষয় থাকায় তারা যে সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করছেন এটি ওপেন সিক্রেট। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে সেই স্বার্থের গায়ে আঘাত হানতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর