রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এর নাম পাকিস্তান

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মিছিলে হত্যাযজ্ঞ

পাকিস্তানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল ও একটি মসজিদে হত্যাযজ্ঞে অন্তত ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বেলুচিস্তানে নবীপ্রেমীদের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মিছিলে আত্মঘাতী হামলা চালান জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে শুক্রবার মসজিদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং জেলায় একটি মসজিদে হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৫৫ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। মিছিলের পাশে অবস্থানরত ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশের গাড়ির পাশে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। পুলিশসূত্রে বলা হয়, এটি ছিল একটি ‘আত্মঘাতী বিস্ফোরণ’। বেলুচিস্তানে বড় ধরনের হামলার পর খাইবার পাখতুনখাওয়ায়ও একটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এ হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছে মসজিদটির ছাদ। জুমার নামাজের সময় হানগু জেলার দোয়াবা পুলিশ স্টেশনের কাছে একটি মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ধ্বংসাবশেষের নিচে ৩০ থেকে ৪০ জন আটকা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন হানগু জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। পাকিস্তানে দেওবন্দপন্থি তালেবান ও মধ্যপ্রাচ্যের আইএসপন্থি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক বেশ শক্তিশালী। সুন্নি মুসলমানদের কোনো কোনো জঙ্গি সংগঠন শিয়াদের মসজিদে হামলা চালানোকে পুণ্যের কাজ বলে মনে করে। নবীপ্রেমীদের ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল এবং মসজিদে হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও এর সঙ্গে তালেবান ও আইএসের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। উভয় জঙ্গি সংগঠনই উমাইয়া রাজতন্ত্রের প্রতি সহানুভূতিশীল। যারা মহানবী (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত হাসান-হোসাইন (রা.)-এর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলো এতই শক্তিশালী যে পুলিশ সদস্যরাও তাদের সামনে অসহায়। পাকিস্তান ও জঙ্গিবাদ সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর