মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাম চাষের সম্ভাবনা

পাম চাষের সম্ভাবনা

বাংলাদেশ একসময় ভোজ্য তেলে ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। কালের বিবর্তনে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে এবং দেশে ব্যবহৃত ভোজ্য তেলের সিংহভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ খাতে এখন যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, তাতে এটিকে খাদ্যপণ্য আমদানির বৃহৎ খাত বললেও অত্যুক্তি হবে না। হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে ভোজ্য তেল আমদানি দেশের অর্থনীতির ওপরও চাপ সৃষ্টি করছে। ভোজ্য তেল আমদানি বাবদ ব্যয়িত অর্থ শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ করলে প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব। এ অবস্থা অর্জনে ভোজ্য তেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে পথ দেখাতে পারে পাম অয়েল। ভোজ্য তেলের অন্যান্য উৎস অর্থাৎ সরিষা, তিল, সয়াবিন, সূর্যমুখী ইত্যাদি বীজ চাষ করে দেশের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হলেও তাতে ধান ও গম উৎপাদনে ব্যবহৃত কৃষিজমি ব্যাপকভাবে ব্যবহারের প্রয়োজন হবে এবং এর পরিণামে দেশ খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হবে। অন্যদিকে পাম চাষের মাধ্যমে ভোজ্য তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নিলে ১০ বছরের মধ্যেই এ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

দেশের রাস্তা ও রেলপথের দুই পাশের জমি, নদী, খাল ও সাগরতীরের অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে যেমন পাম গাছ লাগানো যেতে পারে তেমন পার্বত্য এলাকার পাহাড় ও টিলার ওপরও পাম চাষ সম্ভব। একটি পাম গাছ ফল উৎপাদন শুরু করলে বহু বছর ধরে তা থেকে তেলবীজ সংগ্রহের সুযোগ থাকে। আমরা মনে করি দেশে পাম গাছ চাষে কাক্সিক্ষত সাফল্য পেতে হলে এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সরকারের সহায়তায় পতিত জমিতে পাম চাষের উদ্যোগ নিলে দেশের লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তা অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর