বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উপকূলে প্লাবন

টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করুন

পূর্ণিমার জোয়ার এবং অতিবৃষ্টিতে দেশের উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। পানির প্রবল চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে কোথাও কোথাও। অতিবৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোয়ারে খুলনার উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দাকোপের চুনকুড়ি, পশুর, ঢাকী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে নদীর চর এলাকায় বসবাসকারীদের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। পোদ্দারগঞ্জ ও পানখালী ফেরিঘাটের রাস্তা ডুবে গেছে। পানির প্রবল চাপে ৩১ নম্বর পোল্ডারে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। পাইকগাছার শিবসা ও কপোতাক্ষ নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে গদাইপুর ইউনিয়নের জেলেপল্লী, হরিঢালী ইউনিয়নের হরিদাসকাঠী, সোনাতনকাঠী, রাড়ুলী ইউনিয়নে রাড়ুলী জেলেপল্লী পানিতে তলিয়ে গেছে। বোয়ালিয়া হিতামপুর এলাকায় দুই স্থানে বেড়িবাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পানির প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এতে হিতামপুর গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নদীর চরে মালোপাড়ায় ওয়াপদার কোনো বাঁধ নেই। একটি রিং বাঁধের মাধ্যমে ওই এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ আটকানো হয়। এ স্থানটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। বেড়িবাঁধ ভাঙার উৎকণ্ঠায় ভুগছে উপকূলভাগের অধিবাসীরা। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। উষ্ণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। উপকূলভাগে বেড়িবাঁধ উপচে সাগরের পানি ঢুকছে লোকালয়ে এবং চাষাবাদের জমিতে। এ সমস্যার সমাধানে উপকূলভাগে টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর