শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্বপ্নের নাম রূপপুর

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ

পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। নিউক্লিয়ার ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হিসেবে লাল সবুজের পতাকা উড্ডীন হয়েছে গতকাল। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে জড়িত রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করেছেন। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তা গ্রহণ করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রূপপুরজুড়ে সাজ সাজ রব উঠেছিল গতকাল। প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ করা হয় বিশাল প্যান্ডেল।

আশপাশ এলাকায় টাঙানো হয় ব্যানার-ফেস্টুন। প্রকল্প কাজে জড়িত রাশিয়ানদের আবাসস্থল রূপপুরের গ্রিন সিটিকে দেয়াল অঙ্কনে রাঙিয়ে তোলা হয়। এক সময়ের অজপাড়াগাঁও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কল্যাণে ছোটখাটো আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। আজ থেকে ৫২ বছর আগে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাত্মক সমর্থনে। মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল তারা। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হলেও তার মূল রাষ্ট্র রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের পক্ষে পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করা সম্ভব হলো।

এক সময়ের হতদরিদ্র বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার। ২০৪১ সাল নাগাদ সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে যে বিদ্যুৎ লাগবে তার একাংশ পূরণ করবে রূপপুর প্রকল্প। বলা যায়, ম্মার্ট বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে ভূমিকা রাখছে রূপপুর প্রকল্প। এ প্রকল্প বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে। এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতীক বলে বিবেচিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর