শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উত্তরাঞ্চলে বন্যা

দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে

দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের সিকিম রাজ্যে অতি ভারী বর্ষণে সেখানকার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। উজান থেকে আসা পানিতে দ্রুত ফুলেফেঁপে উঠছে তিস্তার পানি। গত বুধবার রাত ৮টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি। ক্রমাগতভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তিস্তাপারের মানুষের মধ্যে। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধার তিস্তাপারের বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীপারে রেড অ্যালার্ট জারি করে মাইকিং করছে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় নৌকা ও আশ্রয় কেন্দ্র। ভারী বর্ষণে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সিকিম থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে চুংথাম এলাকা। ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা।

কালিম্পংয়ে ভেসে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেনাছাউনি ভেসে গিয়ে ২৩ জওয়ানসহ অন্তত ৪৩ জন নিখোঁজ হয়েছে। উজানে তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তাবেষ্টিত রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় বড় ধরনের বন্যা হলে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে এই এলাকার গরিব মানুষ এমন আশঙ্কাও জোরদার হয়ে উঠেছে। বন্যা মোকাবিলায় পাঁচ জেলা প্রশাসন সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।

স্মর্তব্য, মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় সিকিমে। বুধবার উত্তর সিকিমের লোনাক লেকে দেখা দেয় ফাটল। এ কারণে আচমকা তিস্তার পানির স্তর ১৫-২০ ফুট বেড়ে যায়। বন্যায় ভেসে যায় একটি সেনা ছাউনি। তিস্তা অববাহিকায় আকাল বন্যা উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের জন্য ইতোমধ্যে বিপদ ডেকে এনেছে। এ দুর্যোগ রোধে দুর্গতদের ত্রাণে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের অবস্থাপন্নদেরও বিপন্ন মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে সহযোগিতার হাত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর