শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুর্যোগ মোকাবিলা

প্রস্তুতি আরও বাড়াতে হবে

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল। বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এমন কথাই বলেছেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রযুক্তিতে এখনো একটি পিছিয়ে পড়া দেশ। গত অর্ধশতাব্দীতে হতদরিদ্র অবস্থা থেকে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এ উত্থান গর্বের হলেও স্বীকার করতে হবে উন্নত দেশগুলোর চেয়ে আমরা এখনো ঢের পিছিয়ে। তারপরও উন্নত দেশগুলোতে যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে, সেখানে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে একসময় লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও এখন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দিতে ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধার করতে ৬০টি মাল্টিপারপাস রেসকিউ বোট তৈরি করা হয়েছে। এ বোটগুলোয় প্রতিবন্ধীরাও সহজে উঠতে পারবে। প্রতি বছর দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দুর্যোগ সহনশীল দেশে পরিণত হতে এগিয়ে যাচ্ছি। ভূমিকম্প ও বজ্রপাত ছাড়া অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা ভালো অবস্থানে পৌঁছেছি। ভূমিকম্প ও বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্পে ক্ষতি কমাতে গত বছর বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) বাস্তবায়ন করেছে। এ কোড মেনেই নির্মাণ করতে হবে ভবন। কোড মেনে ভবন নির্মাণ হলে সেটা ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল হবে। একই সঙ্গে সব ভবন পরীক্ষা করা হবে। দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে যেসব ভবন নির্মাণ হয়ে গেছে, সেগুলোকে রেট্রোফিটিং করে ভূমিকম্প সহনশীল করা হবে। ভূমিকম্পের ক্ষতি কমাতে জাপানের মতো অবকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে যে অগ্রগতি ঘটেছে তা স্বস্তিদায়ক। ভূমিকম্প ও বজ্রপাতের মতো দুর্র্যোগ মোকাবিলায়ও একই ধরনের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। যা এখন করণীয় কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর