রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

থার্ড টার্মিনাল

দেশের শিরস্ত্রাণে সাফল্যের পালক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধন বিমানযাত্রায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এর ফলে এ বিমানবন্দরে পা দিয়েই বিদেশিরা এগিয়ে যাওয়া এক বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থার্ড টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত এ মেগা প্রকল্প একদিকে যেমন যাত্রীসেবা নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে বিশ্বসমাজে দেশের ভাবমূর্তি গঠনে অবদান রাখবে। এ টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। যাত্রীধারণ সক্ষমতা বছরে ১৬ মিলিয়ন। তৃতীয় টার্মিনালের কার পার্কিংয়ে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি রাখা যাবে। উড়োজাহাজ পার্কিং বে থাকবে ৩৭টি। যাত্রীদের জন্য লাগেজ বেল্ট থাকবে ১৬টি। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ১ হাজার ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি কাস্টমস হল থাকবে। সেখানে ছয়টি চ্যানেল থাকবে। চেক ইন কাউন্টার থাকবে ১১৫টি, এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকছে ১২৮টি। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৬৬টি। আগমনি ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৫৯টি। ভিভিআইপি তিনটি। বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে প্রথম পর্যায়ে ১২টি। পরে আরেকটি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা হবে। সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে বর্তমান শুধু নয়, ভবিষ্যতের চাহিদা সামনে রেখে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও নকশা শুধু নয়, প্রতিটি উপকরণ যাতে সর্বোচ্চ মানের হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকালে করোনাঘাতের দুঃসময়েও থেমে থাকেনি কাজ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের শিরস্ত্রাণে সাফল্যের পালক হিসেবে শোভা পাবে আগামী দিনগুলোতেও।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর