শিরোনাম
সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভালো মানুষ অভিমানী হয়, বেইমান হয় না

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

ভালো মানুষ অভিমানী হয়, বেইমান হয় না

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ থাকে যারা নীরবে নিভৃতে মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়, অথচ পৃথিবীর কেউ তাদের এই নিঃস্বার্থ উপকারের কথা কখনো জানতেও পারে না। বিনিময়ে তারা কিছুই চায় না, মানুষের মুখে এক টুকরো হাসি ফোটাতে পারলেই তাদের যেন জীবনের সার্থকতা। এমন মানুষ ক্রমশ কমছে, কমতে কমতে প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে। তারপরও তারা আমাদের আশপাশেই আছে। নিজেদের মাথায় মানুষের বোঝা বইয়ে বেড়াচ্ছে, অথচ এই মানুষগুলোকে আমরা চিনতে পারছি না। চিনতে গেলে যে খাঁটি সোনা হতে হয়, সেটা তো আমরা ভুলতেই বসেছি। নিজেদের ওপরে তুলতে তুলতে আমরা যে কতটা নিচে নেমে গেছি, সেটা ভাবলে আঁতকে উঠতে হয়। তারপরও মাটি থেকে নিচে নামতে নামতে গর্তটা গভীর করে চলেছি। হয়তো সে গর্ত থেকে আর কোনো দিনও মাটির পৃথিবীতে উঠে আসা হবে না। মনের ক্ষতটা এত বেশি হয়েছে যে, সেখানে হাড়-মাংসের শরীরটা থাকলেও মনটা নেই। যেখানে মন নেই, সেখানে মানুষও নেই।  কেমন করে চিনব ওই নিঃস্বার্থ মানুষগুলোকে, মনটাই যে মরে গেছে, মরা মনে নদী নেই, স্রোত নেই, যা আছে তার সবটাই ভাসা ভাসা, আবছা আবছা।

আমরা ভাবি, আহা, এই সাদামাটা লোকটা পৃথিবীতে জন্মে যেন পৃথিবীকেই লজ্জিত করেছে, না জন্মালেই যেন ভালো হতো, পৃথিবী অন্তত একটা ডাস্টবিনের আবর্জনা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখতে পারত। কখনো চিন্তাই করতে পারি না এই মানুষটার ভিতরেই লুকিয়ে আছে সেই মানুষটা যে কখনো সামনে এসে তার দয়ালু মুখটাকে দেখাতে ভালোবাসে না, তার দুই হাত ভরা মানুষের জন্য ভালোবাসা পর্দার আড়াল থেকে কখনো সামনে আনতে চায় না বরং গোপনে গোপনে অতি সন্তর্পণে মানুষের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দেয়। নিজের জন্য সেভাবে কখনোই ভাবে না এই নিঃস্বার্থ মানুষগুলো, নিজের জীবনের সব সুখ-আহ্লাদকে বিসর্জন দিয়ে মানুষকে কীভাবে সুখী করা যায় এই ভাবনায় নিজেদের ডুবিয়ে রাখে সব সময়। হয়তো এরাই দার্শনিক ছিল, কিন্তু আমরা ভেবেছি লোকটা বুঝি মানুষ না, একটা পাগল। যাদের এখনো মন আছে, তাদের আমরা মানুষ ভাবি না, যাদের মন নেই, তাদের আমরা মানুষ ভাবি। যেমনটা মানুষ ভেবেছিল ডায়োজেনিসকে নিয়ে।

খ্রিস্টপূর্ব সময়ের কথা, যখন মানুষ সময়কেই গণনা করতে শেখেনি, তখন এই মানুষটা পৃথিবীতে এমন সব উদ্ভট ঘটনা ঘটিয়েছিল, সে সময়ের মানুষরা ভেবেছিল এই পাগলাটে মানুষটা এসব কী করছে। মানুষ যেটাকে পাগলামো ভেবেছিল, সেটা আসলে পাগলামো ছিল না বরং মানুষের জন্য নিজেকে তুচ্ছ, মূল্যহীন করে জীবনের কঠিন সত্যকে বন্দিদশা থেকে টেনে বের করে আনার মহত্ত্ব ছিল। মানুষের মুখের ওপরের মুখোশটা উপড়ে ফেলে মানুষের ভিতরের অমানুষটাকে চিনিয়ে দেওয়ার শক্তি ছিল। পেশিশক্তি বলে সেখানে কিছুই ছিল না, সেটা ছিল জ্ঞানের শক্তি। অনেকে বলতে পারেন, যে জ্ঞান দিয়ে পেটে ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটে না, সে জ্ঞানের মূল্যইবা কতটুকু। এর চেয়ে পেশিশক্তি দিয়ে মানুষের সবটাই কেড়ে নিলেই তো পেট ভরে আরাম-আয়েশে থাকা যায়। মানুষ এমনটা ভাবে বলেই পেশিশক্তির পায়ে লুটিয়ে পড়ে, জ্ঞানকে লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে। অথচ অবহেলার ভিতরে থেকেও জ্ঞান বেঁচে থাকে অনন্তকাল, ভোগবিলাসিতায় ডুবে থেকেও পেশিশক্তি হারিয়ে যায় সময়ের গর্ভে। মিথ্যা বলছি না, ইতিহাসের অনেক ঘটনা এর সাক্ষী।

সবাই বলে মানুষ আর অমানুষকে চেনা খুব কঠিন, কারণ সবাই যে দেখতে মানুষের মতোই। ডায়োজেনিস মানুষের মনকে ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে দেখেন সবাই মানুষ নয়, কেউ কেউ মানুষ। সাধারণ মানুষ যারা নিজেদের অসাধারণ ভেবে আত্মতৃপ্তিতে ভুগে তাদের কাছে ডায়োজেনিস একটা অবাঞ্ছিত বস্তু হলেও তিনি যা পৃথিবীকে জানিয়ে গিয়েছিলেন সেটা ছিল এমন এক দর্শন, যা আগে কখনো পৃথিবীর মানুষ ভেবে উঠতে পারেনি। এই সেই পৃথিবী, এই সেই মানুষ, যারা দেখতে মানুষের মতো, আসলে মানুষ নয়, কিন্তু তারপরও নিজেদের মানুষ বলে দাবি করতে এতটুকু ছাড় দেয় না। এরাই পাগলকে মানুষ বানায়, মানুষকে পাগল বানায়। কথিত আছে, ডায়োজেনিসকে তার নিজ শহর সিনোপ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দিয়েছিল সেই মানুষ নামধারী অমানুষের দল। এর প্রতিবাদ ডায়োজেনিস করেননি বরং নীরব থেকেছেন। কারণ তিনি ভিতরে ভিতরে জানতেন জীবনে আঘাত আসলেই ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিটা কেমন করে যেন নিজেকে চিনিয়ে দেয়। এই নির্বাসন তাকে বুঝিয়েছিল, নির্বাসিত হওয়ার অপমান সইতে পেরেছিলেন বলেই তিনি দার্শনিক হতে পেরেছিলেন। দাস হিসেবে বিক্রি করার জন্য তাকে নিলামে উঠানো হয়েছিল। কিছুই বলেননি তিনি, মুখ বুজে থেকেছেন, নিজেকে চিনতে গিয়ে মানুষকে চিনেছেন। বিক্রি হচ্ছেন জেনেও বুক চেতিয়ে স্বাধীনচেতা মানুষের মতো বলেছেন, আমাকে এমন কারও কাছে বিক্রি কর যার দাস নয়, মনিবের প্রয়োজন। যে মানুষটা নিজেই একটা পৃথিবী, সে মানুষটাকে কী কখনো কেনা সম্ভব? যে মানুষটা নিজেই একটা মহাসমুদ্র তাকে কি সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া যায়। কখনোই যায় না।

ডায়োজেনিসকে সে সময়ের অনেকে মানুষ বলে মেনে নেয়নি বরং তাকে কুকুর বলে ডাকা হতো। তিনি মনে মনে হাসতেন। কারণ তিনি জানতেন, একটা কুকুর যা পারে, মানুষ তা পারে না। কুকুর কখনো বিশ্বাস ভঙ্গ করে না, অথচ মানুষ স্বার্থের জন্য আপন হয়, মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলে, তারপর একসময় বিশ্বাসের বুকে আঘাত করে বিশ্বাসকেই ভেঙে দেয়। খুব অভিমান নিয়ে ডায়োজেনিস বলতেন, অন্য কুকুররা তাদের শত্রুদের কামড়ায় আর আমি আমার বন্ধুদের রক্ষা করতে কামড়াই। খুব গূঢ় এক রহস্যের কথা, যেখানে নিঃস্বার্থ এক মানুষ বাস করে, সেই নিঃস্বার্থ মানুষটা অমানুষদের মানুষ বানাতে তাদের ভিতরের মরে যাওয়া মনকে একটু একটু করে জীবনের পরশমণি ছুঁইয়ে দিয়ে জাগিয়ে তোলার লড়াইটা চালিয়ে যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি’ কবিতাটি লিখতে গিয়ে যেন দেখছিলেন পেছনের সেই ফেলে আসা সময়ের সেই মানুষটাকে। হয়তো সেটাই ছিল সেই কুকুরটা, যে আসলে মানুষ ছিল, অমানুষদের কাছে কুকুর ছিল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখলেন, আমার বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে ওঠে, হৃদয়কে অবহেলা করে রক্ত; আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি-তার ভিতরের কুকুরটাকে দেখব বলে। আমি আক্রোশে হেসে উঠি না, আমি ছারপোকার পাশে ছারপোকা হয়ে হাঁটি, মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে।

খুব অভিমান নিয়ে ডায়োজেনিস বলেছিলেন, কুকুর এবং দার্শনিকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে, কিন্তু সবচেয়ে কম প্রতিদান পায়। কিন্তু তাতে কী? যারা পৃথিবীতে দিতে আসে, তারা দিয়েই যায়, প্রতিদান তাদের কাছে মূল্যহীন। আর ভালো মানুষরা অভিমানী হয়, বেইমান হয় না। কারণ মন থাকলেই অভিমান থাকে, অভিমান থেকেই জন্ম নেয় বাস্তবজীবনের মহানায়করা, যাদের কিছুই থাকে না, কিন্তু তারা রাজার মতো করেই বেঁচে থাকে চিরকাল। তারা মঞ্চ কাঁপায় না, মঞ্চ ভেঙে মঞ্চ গড়ে। তারা নিজেদের প্রচার করে না, অথচ নিজেদের আড়ালে রেখেই তারা ইতিহাসের কিংবদন্তি চরিত্র হয়ে যায়। সেই মানুষগুলো এখনো আছে, হয়তো আমাদের খুব কাছে, অযতেœ-অবহেলায়, ভিতরে-বাইরে। আমাদের কপালের নিচের চোখ দিয়ে তাদের দেখার ক্ষমতা আমাদের নেই, চোখ থাকতেও যে আমরা অন্ধ, সে অন্ধ চোখে ক্ষমতার মূল্য বেশি, মানুষের মূল্য কম, জ্ঞান-দর্শনের মূল্য কম।

মানুষের চেয়ে বড় ক্ষমতার চেয়ারটা, কারণ মানুষগুলো বদলায়, চেয়ারগুলো বদলায় না। যতক্ষণ মানুষ চেয়ারে থাকে ততক্ষণ মানুষের চারপাশে লোভী মানুষের দল থাকে, যেদিন মানুষ চেয়ার হারায়, সেদিন সেই লোভীদের দল চেয়ার হারানো মানুষগুলোকে ভুলে গিয়ে চেয়ারের দাবিদার পরবর্তী মানুষদের জন্য অপেক্ষা করে। কারণ মৌচাকেই মধু থাকে, মৌমাছি মধুর পেছনেই ঘুরঘুর করে। চেয়ার জড়বস্তু, দোষ-গুণের ঊর্ধ্বে অথচ লোভীদের কাছে সব সময় মূল্যবান, সুবিধাবাদীদের কাছে মহামূল্যবান। না, ক্ষমতা নিয়ে ভাবছি না, ভাবছি ক্ষমতার বাইরের অসীম ক্ষমতা নিয়ে। যেখানে চেয়ার নেই, জ্ঞান আছে, যেখানে ক্ষমতার লড়াই নেই, ত্যাগের সৌরভ আছে।

একটা হালকা-পাতলা সাধারণ বেশভূষার মানুষ, ভারতের রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। এখনকার রাজনীতিবিদের সঙ্গে মেলানোই যাবে না, কারণ তার ভিতরে দেশপ্রেম ছিল, যেটা এখনকার রাজনীতিবিদের মধ্যে নেই। নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে সব সময় প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর রেলমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৫৬ সালে অন্ধ্র প্রদেশে এক রেল দুর্ঘটনায় ১১২ জন যাত্রী নিহত হলেন। মনটা তাঁর হু হু করে কেঁদে উঠল, আপনজন হারানোর মতো বেদনায় মুষড়ে পড়লেন তিনি, নিজেকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ভাবলেন আর ভাবলেন, তারপর এই দুর্ঘটনার সব দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাছে। তিনি রেলমন্ত্রী, রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা ও উন্নয়নের মতো বড় বড় বিষয় নিয়ে ভাববেন, তিনি তো রেলগাড়ি চালাননি। তারপরও এমন দায় নিয়ে সরে দাঁড়ানো, যারা সাহসী ও নির্লোভ তারাই এমন করে ভাবতে পারেন। সাহসীরা হারতে জানে, ভীরুরা যেভাবেই হোক জিততে জানে। অথচ কিছু কিছু হারানোর মধ্যে ত্যাগ থাকে আর অনেক জয়ের মধ্যে লোভ থাকে। মানুষ জিততে গিয়ে হেরে যায়, হেরে গিয়ে জিতে যায়। জীবনটা তো এমনই এক জটিল খেলা, যে খেলায় খেলোয়াড় হওয়ার চেয়ে বেশি দরকার মানুষ হওয়ার। জওহরলাল নেহরু পদত্যাগপত্র হাতে পেলেন কিন্তু তাঁর এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন না, বরং তাঁকে বললেন, রেলের কাজ চালিয়ে যেতে, যতক্ষণ না তিনি আরেকজন রেলমন্ত্রী খুঁজে পান। এ ঘটনার মাত্র তিন মাস পরে তামিলনাড়ুতে আরেক রেল দুর্ঘটনায় ১৪৪ যাত্রী নিহত হলেন। এবার আর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী নিজেকে স্থির রাখতে পারলেন না, অপরাধ না করেও একটা অপরাধবোধ তাকে কেমন করে যেন তাড়িয়ে বেড়াতে লাগল, আহত হলো মন, যদিও তিনি এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমার এবং সরকারের জন্য এটাই ভালো হবে। নিঃশব্দে যদি আমি আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যাই।’ লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর এমন মানসিক অবস্থা চিন্তা করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও জওহরলাল নেহরু তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেন। ভাবা যায়, এখনকার দুনিয়ায় যেখানে মানুষ যেভাবেই হোক ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়, সেখানে ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে সাধারণ মানুষের কাতারে এসে জীবনের দর্শন যে বদলে দেওয়া যায়, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী তার প্রমাণ। এই পদত্যাগপত্র গ্রহণকালে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন ‘যদিও তিনি পদত্যাগ করেছেন, আমরা তা গ্রহণ করেছি, এর মানে এই নয় যে, মি. শাস্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। পদত্যাগপত্র এ কারণে গ্রহণ করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে ও শিখতে পারে, তিনি সংবিধান, গণতন্ত্র ও দায়িত্বের প্রতি কতটা সৎ এবং নিবেদিত ছিলেন।’ পৃথিবীতে কেউ কেউ আসেন মানুষকে পথ দেখানোর জন্য, দেশপ্রেমের পরীক্ষায় নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। তেমন মানুষ হয়তো আর খুব বেশি নেই, তারপরও তেমন দেশপ্রেমিক নিঃস্বার্থ মানুষদের স্বপ্ন দেখতে তো কোনো ক্ষতি নেই। এখন চারদিকে তাকালে মনে হয়, দেশপ্রেমিকে দেশটা ভরে গেছে, অথচ দেশপ্রেম প্রায় কারও ভিতরেই নেই। দেশপ্রেমের অভিনয় বেড়েছে, দেশপ্রেমিক কমেছে। খুব লজ্জিত হই, যখন চারপাশে তাকিয়ে দেখি নিজেকে দেশপ্রেমিক প্রমাণ করার প্রতিযোগিতা বেড়েছে, প্রকৃত দেশপ্রেমিক বাড়েনি। মানুষ ঠিক কবে মানুষ হবে, সেই প্রশ্নটাই যেন এখন ঝুলে আছে।

লেখক : শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট; ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

সর্বশেষ খবর