বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বন্ধ হোক সংঘাত

দুই রাষ্ট্র ব্যবস্থাই সমাধান

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাতে ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহী রণতরীসহ যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধ বিমানের বহর পাঠিয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতির ঘোরতর অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভক্তি থাকা সত্ত্বেও হামাসকে সমর্থন জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন পিএলও। এ সমর্থনের ফলে হামাসের নৈতিক মনোবল আরও শক্তিশালী হয়েছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে হস্তক্ষেপ করলে মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিনি অবস্থানে হামলা চালানো হবে, কোনো রেডলাইন রাখা হবে না। রাশিয়া বলেছে, এ যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। গাজা ও লেবানন সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। ইসরায়েল হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে পুরো গাজার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার ইসরায়েলি বিমান থেকে সারা রাত বোমা বর্ষণ করা হয়। এতে ধ্বংস ও মৃত্যুর উপত্যকায় পরিণত হয় অঞ্চলটি। সোমবার বিকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তিন দিনের যুদ্ধে সেনাসহ ৮০০ ইসরায়েলি নিহত ও অন্তত আড়াই হাজার আহত হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬০-এ এবং আহতের সংখ্যা অন্তত ৩ হাজার। হামাসের সঙ্গে সংঘাতের পর ইসরায়েল ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য তলব করেছে। যা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ইসরায়েলের সঙ্গে মিসর, সিরিয়া, ইরাকসহ অন্যান্য আরব দেশগুলোর যুদ্ধেও এত বেশি রিজার্ভ সেনা ডাকা হয়নি। ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে হতাহতের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। কোনোভাবেই জীবনের এমন অপচয় কাম্য নয়। মধ্যপ্রাচ্যে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেওয়ায় এ সংঘাতের একমাত্র সমাধান ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র কাঠামোর স্বীকৃতি দেওয়া। এর ব্যত্যয় হলে শুধু রক্তই ঝরবে। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন প্রতিটি মানুষকে শান্তির পক্ষে একমত হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর