শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশও ইসরায়েলের হুমকির মুখে

সুমন পালিত

বাংলাদেশও ইসরায়েলের হুমকির মুখে

ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। অথচ বেশির ভাগ আরব দেশের সঙ্গে এ ইহুদি রাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক ও ইরান তড়িঘড়ি তাদের স্বীকৃতি দেয়। ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহেনশাহ রেজা শাহ পাহলভির সঙ্গে ইহুদি দেশটির ছিল হরহরি আত্মার সম্পর্ক। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেত ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা সাভাক। বামপন্থি ও ইসলামপন্থিদের দমনে গোয়েন্দা সংস্থা সাভাক কুখ্যাতি অর্জন করেছিল। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর পুরো চিত্র পাল্টে যায়। ইরান ইসরায়েলের পয়লা নম্বর শত্রু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

বাংলাদেশ জন্মলগ্ন থেকেই ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ইহুদিবাদীরা অবস্থান নিয়েছিল পাকিস্তানের পক্ষে। ইয়াহিয়া, টিক্কা, গোলাম আযম, নিজামীদের তারা তারস্বরে সমর্থন জুগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকাতে পাকিস্তানিদের চেয়েও বেশি পাকিস্তান দরদি হয়ে উঠেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে নিক্সন কিসিঞ্জার চক্রের ঢালাও মদদ পেয়েও পাকিস্তানের শেষ রক্ষা হয়নি। মোসাহেবদের ভরাডুবিতে কিসিঞ্জার সাহেব এতটাই নাখোশ হয়ে ওঠেন যে, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যা দিয়ে ঝাল মিটিয়েছেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও বাংলাদেশের জন্ম থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে শীতল যুদ্ধ। ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয় ৮ হাজারেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা। ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকরা এটিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি। ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাথা গলাতে ইহুদি দেশটি নানাভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের ইসরায়েল কানেকশন নিয়ে সাত বছর আগে হইচই ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গনে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট বলে কথিত মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির এক যুগ্ম মহাসচিব ভারতে বেশ কয়েকবার গোপন বৈঠকে মিলিত হন। সাত বছর পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে মেন্দির বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে হইচই ফেলে। এ বিষয়ে অভিযোগ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত। নুরুল হক নূর নামের গণ অধিকার পরিষদের ওই নেতা মেন্দির সঙ্গে বৈঠকের কথা তারস্বরে অস্বীকার করেছেন। মেন্দি সাহেব অবশ্য একটি দৈনিককে বলেছেন, বৈঠকের কথা সত্য। গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া সদস্যসচিব নুরুল হক নূরকে এ অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কথিত মেন্দির সঙ্গে নূরের গোপন বৈঠকের বিষয়ে তদন্ত করছে। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে ইসরায়েলি গোয়েন্দার সঙ্গে বৈঠকের দায়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায়। এক বছর পর আদালতে জামিন পেলেও পরবর্তীতে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনে দুদক ও অন্যান্য মামলায় বছরের পর বছর জেলের ঘানি টানতে হয়েছে। সবারই জানা, ভারত বিরোধিতা বিএনপির রাজনীতির অন্যতম মূলধন। রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের জুড়ি নেই। সেই দলের এক বড় নেতা শিফন কুমার বসু নামের ভারতের একজন হিন্দুত্ববাদী নেতাকে নিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার কথিত এজেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমন তথ্য বিএনপির জন্য খুব একটা সুখের নয়। যে কারণে দলের এক যুগ্ম মহাসচিবের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছেন। মেন্দি এন সাফাদিকে ইহুদি বলেও প্রচারণা চলছে। দেশের একটি প্রভাবশালী দৈনিকের ভাষ্য, সাফাদি দ্রুজ ধর্মের অনুসারী। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, দ্রুজরা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে। ইসলামী তত্ত্ব মতে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষ নবী। তারপর আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। দ্রুজ, ইসলামিয়া এবং কাদিয়ানিরা বিশ্বাস করেন, মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ হলেও সর্বশেষ নবী নন। কাদিয়ানিরা পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কাদিয়ানের জনৈক মির্জা গোলাম আহমদকে নবী বলে মানেন। যে কারণে অন্য মুসলমানরা তাদের মুসলিম বলেই ভাবেন না। কাদিয়ানিদের কাফের বলেও ফতোয়া দেন শিয়া ও সুন্নি উভয় গ্রুপের আলেমরা। পাকিস্তানে এ নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

মেন্দি এন সাফাদির জন্ম দ্রুজ মুসলিম পরিবারে। ইসরায়েলে আরব মুসলমান ও খ্রিস্টানদের দেখা হয় বাঁকাচোখে। দ্রুজরা নিজেদের মুসলমান দাবি করলেও ইসরায়েলে ইহুদিদের মতোই সমঅধিকার ভোগ করে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে আরবদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হলেও দ্রুজদের একটি আলাদা ব্রিগেড আছে। ইসরায়েলের ইহুদিদের অনেকেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সহাবস্থানের পক্ষে। কিন্তু দ্রুজরা ইহুদিদের চেয়েও বেশি আরববিরোধী।

দ্রুজ ধর্মের উদ্ভব একাদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। মিসর ও সিরিয়ার ফাতেমীয় খলিফা আবু আলী মনসুর আল হাকিমের আমলে। দ্রুজ নামটি এসেছে মুহাম্মাদ বিন ইসমাইল নাশতাকিন আদ-দারাজির নাম থেকে। আদ-দারাজি ছিলেন একাদশ শতাব্দীর একজন ভিন্ন মতাবলম্বী শিয়া আলেম। আদ-দারাজি প্রচার করতেন সৃষ্টিকর্তা মানুষের মধ্যে বিরাজ করেন। বিশেষ করে আলী ইবনে আবি তালিব ও তাঁর বংশধরদের মধ্যে। তৎকালীন খলিফা আবু আলী মনসুর আল হাকিমের মাঝেও সৃষ্টিকর্তা আছেন বলে প্রচার করেন।

১০১৬ সালে আদ-দারাজি ও তাঁর অনুসারীরা প্রকাশ্যে তাদের বিশ্বাস প্রচার করতে শুরু করেন। জনসাধারণকে তাদের এই ধর্মমত গ্রহণের ডাক দেন। এ কারণে কায়রোতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু হয়। প্রতিবাদে এরপর প্রায় বছরখানেক আদ-দারাজির কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

দ্রুজ হলো আরবি দারজির বহুবচন। এ সম্প্রদায়ের লোকেরা নিজেদের ‘আহলে তাওহিদ’ বা একেশ্বরবাদী বলে পরিচয় দেয়। পৃথিবীতে যত দ্রুজ আছে তার অর্ধেক সিরিয়ায়। দ্রুজদের প্রায় ৪০ শতাংশের বসবাস লেবাননে। বাদবাকি ১০ শতাংশের মধ্যে ইসরায়েল ৬ শতাংশ এবং জর্ডানে ২ শতাংশের বসবাস। অন্যরা খুঁটি গেড়েছেন বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে। আদ দারাজির ধর্ম মত, ইসলামী ইমান ও আকিদার পরিপন্থী বলে মনে করেন শিয়া ও সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মবেত্তারা। আদ-দারাজি খলিফা আল হাকিমকে নবী বা অবতার হিসেবে প্রচার করায় চারদিকে অসন্তুষ্টি দানা বেঁধে ওঠে। রাজপরিবারের অনেক সদস্যও খলিফার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধী হয়ে ওঠেন। যাদের অন্যতম খলিফা আল হাকিমের বড় বোন সিত্তাল মুলক। ১০৯৮ সালে আদ-দারাজি গুপ্তহত্যার শিকার হন। কারও কারও মতে, নিজেকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে খলিফা তাকে হত্যা করেন। খলিফা আল হাকিমের ধর্মীয় তৎপরতার বিরোধী ছিলেন তার বড় বোন সিত্তাল মুলক। যে কারণে ভাই ও বোনের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। আল হাকিম তার বোন সিত্তাল মুলককে চরিত্রহীন বলে অভিহিত করতেন। রাজপরিবারের কোন্দল যখন তীব্র হয়ে ওঠে তখন আল হাকিম ১০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একাকী কায়রো নগরী পরিভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হন। আল হাকিম ছিলেন নির্দয় স্বভাবের। ফলে তার শত্রু কম ছিল না। তাদের হাতে তিনি নিহত হতে পারেন এমন ধারণাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আল হাকিম নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্র আলী আস জহির সিংহাসনে বসেন। নাবালক খলিফার অভিভাবক সিত্তাল মুলক ১০২১ সালে সেনাবাহিনীকে দ্রুজ আন্দোলনে নির্দেশ দেন। পরবর্তী সাত বছর দ্রুজ অনুসারীরা নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ফাতেমীয় সেনাবাহিনীর হাতে প্রায় ১০ হাজার দ্রুজ নিহত হয়। এন্তিওখে ৫০০০ দ্রুজকে হত্যা করা হয়। এর ফলে দ্রুজ অনুসারীরা আত্মগোপন করে। যারা ধরা পড়ত তাদের বলপূর্বক ধর্মত্যাগে বাধ্য করা হতো অথবা হত্যা করা হতো। দক্ষিণ লেবানন এবং সিরিয়াতে কিছু দ্রুজ টিকে থাকে।

দ্রুজরা নিজেদের মুসলমান দাবি করলেও অন্য মুসলমানরা তাদের বাঁকাচোখে দেখেন। ইসরায়েলে অবস্থানরত দ্রুজরা ইহুদিদের চেয়েও বেশি ফিলিস্তিনবিদ্বেষী। ২০১৯ সালে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেন্দি এন সাফাদি ইসরায়েলের যে নাগরিক আইনে ফিলিস্তিনিদের সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজেকে মানবাধিকার কর্মী বলে দাবি করলেও তার কাছে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।

বলা হয়ে থাকে, যুদ্ধ আর প্রেমে ন্যায়-অন্যায়ের বালাই নেই। সনাতন ধর্মের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় পাণ্ডবদের অভিভাবকের ভূমিকা রাখেন। যুদ্ধে পিছু হটতে থাকে পাণ্ডবরা। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষের মহাবীর দ্রোণাচার্যকে নিরস্ত করতে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুন ও যুধিষ্ঠীরকে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন দ্রোণাচার্যকে ঠেকাতে তার প্রিয়পুত্র অশ্বথামা মারা গেছেন এমন বার্তা দিতে হবে। এ জন্য যুধিষ্ঠীরকে রাজি করান। যুধিষ্ঠীর ছিলেন সত্যের সাধক। তিনি মিথ্যা বলতেন না। প্রথমে আপত্তি করলেও এহেন সত্যবাদী শ্রীকৃষ্ণের অনুরোধের ঢেঁকি গিলতে বাধ্য হন। দ্রোণাচার্যকে তিনি অশ্বথামার মৃত্যুর খবর দিতেই স্তম্ভিত হয়ে যান মহাবীর। অস্ত্র ত্যাগ করেন তিনি। আর সে মুহূর্তে শত্রুপক্ষের অবিরাম শরাঘাতে প্রাণ হারান। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৃষ্ণের শিষ্যদের জয় নিশ্চিত হয়।

বোদ্ধাজনদের জানা, ইহুদি লবি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী খরচও জোগায় তারা। বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের নেক নজরের আশায় বাংলাদেশের সরকারবিরোধী কোনো নেতা ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে দেন-দরবার করলে শ্রীকৃষ্ণের তত্ত্ব অনুযায়ী খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না। কারণ বিশ্বরাজনীতি শুধু নয়, অর্থনীতিরও পরোক্ষ নিয়ন্ত্রক ইহুদিরা। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ তো বটেই, বিশ্ব মুদ্রাব্যবস্থাও ইহুদি লবির নিয়ন্ত্রণে। আমেরিকার মতো ক্ষমতাধর দেশও যে লবিকে কুর্নিশ করতে বাধ্য হয়। শুরুতেই বলেছি ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখানো সত্ত্বেও কোনো সরকার তাতে রাজি হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল বা নেতাদের যে ইসরায়েল কানেকশন গড়ে উঠেছে, তাতে আগামীতে কোনো নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের ইসরায়েল নীতির পরিবর্তন ঘটলেও ঘটতে পারে। ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগও সৃষ্টি হবে। তাতে শক্তিশালী হবে বাংলাদেশের পশ্চিমা কানেকশন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মোড় নেবে। ইহুদি লবির বদৌলতে যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান যারাই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশকে দেখবে প্রাণের বন্ধু হিসেবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর