বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্যালাইন সংকট

কালোবাজারিদের থামান

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওষুধের বাজারেও কালো হাতের থাবা। ডেঙ্গুজ্বরে জীবন বাঁচাতে ব্যবহার হয় স্যালাইন। দেশে স্যালাইনের উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় সন্তোষজনক। ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে উৎপাদনকারী ওষুধ কোম্পানিগুলো এর উৎপাদনও বাড়িয়েছে সাধ্যমতো। কিন্তু তারপরও স্যালাইন সংকটের অবসান ঘটেনি। এমনকি বিদেশ থেকে আমদানির পরও বন্ধ হয়নি বেশি দামে বিক্রির প্রবণতা। নিরস্ত হয়নি কালোবাজারিরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় স্যালাইনের সংকট অনিবার্য হয়ে উঠেছে। করোনার সময় দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বন্ধ স্যালাইন ইউনিটটি চালুর দাবি তুললেও কর্তাব্যক্তিরা সায় দেননি। তারা দেশে কোনো কিছু উৎপাদনের চেয়ে আমদানিতে উৎসাহী। কারণ তাতে কমিশন লাভের সুযোগ থাকে। ডেঙ্গুর ভয়াল থাবায় যে স্যালাইন সংকট শুরু হয়েছে জরুরি অবস্থায় দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদনের সুযোগ থাকলে এড়ানো যেত। বাজারে এখন দেড় দুই গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে স্যালাইন। মানুষের পকেট কেটে নিজেদের পকেট স্ফীত করছে কালোবাজারিরা। অকার্যকর প্রশাসন তা রোধে কোনো সক্ষমতা দেখাতে পারছে না। স্যালাইন সংকটে গরিব ডেঙ্গু রোগীদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিপর্যয়কর অবস্থা সামাল দিতে প্রথমত কালোবাজারিদের প্রতি কঠোর আঘাত হানতে হবে। দ্বিতীয়ত বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত স্যালাইন আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। তৃতীয়ত জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বন্ধ স্যালাইন ইউনিটটি দ্রুত চালু করতে হবে। কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ফার্মেসির লাইসেন্স বাতিলসহ কড়া পদক্ষেপ নিলে সংকট অনেকাংশ সহনীয় হয়ে উঠবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নাগরিকদের মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ। তারা যাতে মশা নিধনে সফল হয়ে ওঠেন, তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর