শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

জেলেদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করুন

ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এবারের এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাছ শিকারিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে হতাশা। হতাশা ভোক্তাদের মধ্যেও। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শরতোৎসবের আগে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা কতটা জরুরি ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে গত রাত ১২টার আগেই বন্ধ হয়ে যায় ইলিশ ধরা থেকে শুরু করে পরিবহন ও বিক্রি। ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং মাছ বৃদ্ধির জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রতি বছর কমবেশি মাছ পাওয়ার আশায় জেলেরা আনন্দ এবং উৎসাহের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা পালন করে। তবে, এ বছর ইলিশ মৌসুমে সাগরে তেমন মাছ ধরা না পড়ায় জেলেদের মুখে হাসি নেই। মৌসুমজুড়ে ইলিশে খরা আর বারবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার বন্ধ রাখার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তবে ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার উপযুক্ততা অর্জন না করায় মৎস্য বিভাগের সময় নির্ধারণ নিয়ে পাথরঘাটা উপকূলীয় এলাকার জেলেদের রয়েছে আপত্তি। বরগুনার পাথরঘাটার বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে বেচাকেনার ধুম পড়ে। নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে গত রাত ৯টায়ও ক্রেতার ভিড় ছিল। তবে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম ছিল নাগালের বাইরে। ইলিশকে বলা হয় মাছের রাজা। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এটি। বাঙালিত্বের সঙ্গে ইলিশের সম্পর্কও অবিভাজ্য হয়ে পড়েছে। মা-মাছের বাধাহীন প্রজননে প্রতি বছর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় একাধিকবার। বলা হচ্ছে, এর ফলে ইলিশ উৎপাদন নাকি বেড়েছে। তবে দাম দিন দিন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের কষ্টের মধ্যে থাকতে হবে। তারা যাতে ঠিকমতো খাদ্য সহায়তা পায় সেদিকে নজর রাখা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর