শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিপন্ন ফিলিস্তিন

মানবাধিকারের সোল এজেন্টরা কোথায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, সব ধরনের যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে ফিলিস্তিনে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। ফিলিস্তিনিরা একটি ঐতিহ্যবাহী জাতি। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের যুগেও এ মহান জাতির অস্তিত্বের কথা রয়েছে ইহুদি জাতির ধর্মগ্রন্থে। ফিলিস্তিনিরা তাদের দেশে শান্তিতেই ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা ইউরোপ থেকে ইহুদিদের জড়ো করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংকটের শুরু। তারা জাতিসংঘকেও এ অন্যায় ও অবৈধ কাজে শিখণ্ডি হিসেবে ব্যবহার করে। পশ্চিমা অর্থ ও অস্ত্রে ইসরায়েল আবির্ভূত হয়েছে নিপীড়ক রাষ্ট্র হিসেবে। ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চলমান সংঘাত নতুন নয়। প্রায় তিন দশক ধরে তা চলে আসছে। তবে ২০০৭ সাল থেকে এ সংঘাত চলছে ধারাবাহিকভাবে। ইসরায়েল রাষ্ট্র জন্ম নেওয়ার পর থেকেই একাধিক যুদ্ধ করে। পশ্চিম এশিয়ার স্থানীয় দেশগুলো ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। আরবদের আপত্তি অগ্রাহ্য করায় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের দামামা বেজে যায়। আরব দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়। যুদ্ধে আরব দেশগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত ভূমির অর্ধেক ইসরায়েল দখল করে নেয়। এর পরে ১৯৬৯ সালে সুয়েজ সংকটে ইসরায়েল মিসরের বিরুদ্ধে সিনাই যুদ্ধ করে। এটা দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ নামেও পরিচিত। ১৯৬৭ সালে সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক এবং মিসরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ইসরায়েল। ছয় দিনব্যাপী ওই যুদ্ধে জয়ীও হয় তারা। যুদ্ধবাজ ইসরায়েল ইতোমধ্যে গাজা ও পশ্চিমতীর নিজের ভূখণ্ড ঘোষণার হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলিরা মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি জাতিকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিলেও মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সোল এজেন্টরা নীরব। এ ভণ্ডামির অবসান ঘটাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর