শিরোনাম
সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাবে

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মহা ভোগান্তির ইতি ঘটতে যাচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সিংহভাগ শিক্ষার্থীর পছন্দের শীর্ষে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটসহ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর পাশাপাশি এগিয়ে জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটের শাহজালালসহ আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় যারা অংশ নেন তাদের সিংহভাগই ব্যর্থ হন পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণে। তবে প্রতি বছরই অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের নিয়ে ছুটতে হয় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এ জন্য টাকার শ্রাদ্ধই শুধু নয়, নিরাপত্তাঝুঁকিতেও পড়তে হয় প্রায়শই। এই ভোগান্তির অবসানে আসন্ন শিক্ষাবর্ষেই শুরু হচ্ছে এক ভর্তি পরীক্ষায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম। আইনি প্রক্রিয়ায় দেশের ৫৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে এক পরীক্ষায় ভর্তির বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনতে শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়া চলছে। অধ্যাদেশ জারি হলে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করতে পারবে না। অধ্যাদেশ তৈরির কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে। শিগগিরই অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্যের অভিপ্রায় অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৫ এপ্রিল সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে ১৫ সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বর্তমানে দেশের ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগরসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। এর পাশাপাশি ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুচ্ছে, তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট আরেকটি গুচ্ছ এবং কৃষি শিক্ষার সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় আরেক গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা হয়। এর ফলে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয় তার অবসান ঘটবে একসঙ্গে পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে।

সর্বশেষ খবর