বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনে হানাহানি

সব পক্ষকে সমঝোতায় আসতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ ও অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে গণভবনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের এ যুদ্ধ বন্ধ করার তাগিদ দেন। বলেন, পৃথিবীজুড়ে একটি যুদ্ধের দামামা আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিছুদিন আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এখন আবার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করেছে। ফিলিস্তিনের অর্ধেকের বেশি জায়গা তারা তো দখলই করে রেখেছে। এই যুদ্ধ আমরা চাই না। আমি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে না, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না, একজন মা হিসেবে বিশ্ব নেতাদের কাছে অনুরোধ করব আপনারা বন্ধ করেন এই যুদ্ধ। বন্ধ করেন এই অস্ত্রের খেলা। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলার মুখে যখন লাখ লাখ মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার তখন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান খুবই তাৎপর্যের দাবিদার। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে রক্তাক্ত মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে। ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে পাকিস্তানি দখলদারদের আক্রোশের শিকার হয়ে। ফলে অন্যায় যুদ্ধ ও হানাহানিতে নিরীহ মানুষ কী বিড়ম্বনায় পড়ে তা বাংলাদেশের জানা। বাংলাদেশ প্রথম থেকেই যুদ্ধ ও হানাহানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বাংলাদেশ সংহতি প্রকাশ করে আসছে শুরু থেকে। ফিলিস্তিনিরা দুনিয়ার একটি প্রাচীন জাতি। মানব সভ্যতায় যাদের অবদান অনন্য। ইহুদিদের প্রসঙ্গেও তা এক সাধারণ সত্যি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জোর করে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল এক মহা অন্যায়। বাস্তবতার নিরিখে আমরা মনে করি, মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বশান্তির স্বার্থেই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা করে ইসলায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি বিশ্ব সমাজের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ বিষয়ে সব পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সঙ্গে যেহেতু পৃথিবীর তিনটি প্রধান ধর্ম ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের স্পর্শকাতর সংবেদনতা জড়িত সেহেতু সমঝোতার শুভবুদ্ধি প্রদর্শনে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর