ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতায় স্তম্ভিত বিশ্বের সব বিবেকবান মানুষ। মঙ্গলবার গাজার এক হাসপাতালের ওপর হামলা চালিয়ে তারা হত্যা করেছে ৮০০-এর বেশি মানুষকে। যাদের এক বড় অংশই নারী ও শিশু। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সোল এজেন্ট যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি প্রভৃতি পশ্চিমা দেশ হাসপাতালের ওপর ভয়াবহ বোমা বর্ষণে ৮০০-এর বেশি মানুষের প্রাণহানির যুদ্ধাপরাধ সত্ত্বেও ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বয়ং ইহুদিবাদীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে ইসরায়েলে গেছেন। হাসপাতালে ভয়ংকর ধরনের বোমা মেরে ৮০০-এর বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার দায় থেকে ইসরায়েলিদের রেহাই দিতে তিনি বলেছেন, অন্য কেউ এ হামলা চালিয়েছে। লজ্জার মাথা খেয়ে ইসরায়েলিরা হাসপাতালে বোমা হামলার দায় সরাসরি অস্বীকার করার সাহস না দেখালেও ইহুদি নামধারী নব্য নাৎসিদের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে সাফাই গেয়েছেন তা লজ্জাজনক। স্মর্তব্য, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলার সমর্থন জানাতে বুধবার ইসরায়েল সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলে অবতরণ করেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, গাজার আল-আহলি আল আরবি হাসপাতালে ইসরায়েল নয়, অন্য কেউ হামলা চালিয়েছে। এ সময় তিনি নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা নন, মনে হচ্ছে অন্য কোনো দল গাজার হাসপাতালে মারাত্মক বোমা হামলা চালিয়েছে। বাইডেন অবশ্য গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত এবং ক্ষুব্ধ হওয়ার কথাও বলেছেন! নেতানিয়াহুকে বলেছেন, আমি যা দেখেছি তার ওপর ভিত্তি করে মনে হচ্ছে, এ কাজ অন্য কোনো দল করেছে, আপনারা নন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় মার্কিন নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের মানুষ এবং বিশ্বের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানাতে তিনি ইসরায়েলে গেছেন এমন দাবিও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে যে দেশটির মাতামাতি বিশ্ববাসীকে তটস্থ করে রাখে তাদের ইসরায়েল নীতি মুখোশ খোলার জন্য যথেষ্ট বললে খুব একটা ভুল হবে না।