শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেড় শ সেতু উদ্বোধন

জাতীয় অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে

যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবকাঠামোগত উন্নয়ন মুখ্য ভূমিকা রাখে। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের যে নজরকাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে তার পেছনে অবদান রেখেছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন। পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে উন্নয়নের পাদপীঠের নিচে এনে দিয়েছে। এর আগে গত শতাব্দীর শেষ দিকে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু দেশের মঙ্গাপীড়িত উত্তরাঞ্চলের দারিদ্র্য মোচনে অনন্য ভূমিকা রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর কেওয়াটখালী সেতু ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ দেশব্যাপী নবনির্মিত ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিএর স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র, বিআরটিসির বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব সেতু উদ্বোধন করা হয়। ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দেশের দীর্ঘতম স্টিল আর্চ সেতু কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণে খরচ হবে মোট ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং রহমতপুর সেতু নির্মাণে খরচ হবে ৩৫৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুনে সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মিরপুরে ১০৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্রসহ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নবনির্মিত ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর অথরিটি ভবন, ময়মনসিংহে বিআরটিসির বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী গেল বছরের ৭ নভেম্বর ১০০ সেতু এবং ২১ ডিসেম্বর ১০০টি সড়ক ও মহাসড়ক উদ্বোধন করেছিলেন। একই সঙ্গে দেড় শ সেতু এবং অন্যান্য স্থাপনা উদ্বোধনের ঘটনা বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গতিকে দ্রুততর করতে সাহায্য করবে। এসব স্থাপনা যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থানেও তা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও রাখবে অবদান।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর