সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র রক্ষা কীভাবে

অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইয়িদ

গণতন্ত্র রক্ষা কীভাবে

১. বাংলাদেশ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহুমাত্রিক জটিলতা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। জনজীবন বিপর্যস্ত। তারপরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সবার কাছেই কাক্সিক্ষত। কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো- সেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কীভাবে হবে? অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশন কী বলেছেন, তার মর্মার্থ কী, পরিণতি কেমন হবে- এ বিষয়টি সচেতন জনগণকে ভাবিত করেছে। গেল ৪ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘নির্বাচনে যদি ১ শতাংশ ভোট পড়ে এবং ৯৯ শতাংশ ভোট না পড়লেও তা আইনগতভাবে সঠিক আছে।’ এর ব্যাখ্যায় আরও উক্তি করেছেন, ‘সেক্ষেত্রে লেজিটিমেসির  (বৈধতা) ব্যাপারটি ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আইনত নির্বাচন সঠিক হবে। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাব না।’ আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘নির্বাচনে লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফাইট করবে। নির্বাচনে কে এলো বা এলো না সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। ব্যাপকসংখ্যক ভোটার যদি ভোটদান করেন, তাহলে সেটাকে আমরা অংশগ্রহণমূলক বলতে পারি।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপর্যুক্ত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রত্যাশাকে নিরাশ করেছে। এসবই সরকারি ভাষ্য। নতুন কিছু নয়। তবুও বিশ্লেষণ করা যাক।

ক. ১ শতাংশ ভোট পড়লে কি আইনগতভাবে বৈধ হবে? হবে না। কারণ সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত বিধিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে- কমপক্ষে ৮ শতাংশের নিচে কোনো প্রার্থী ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী কীভাবে আইনগতভাবে বৈধ হবে?

খ. নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। লেজিটিমেসি পাওয়ার জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে বাধা আছে। সংবিধানে ১১৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে- নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। প্রশাসন, পুলিশ, প্রিসাইডিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেটসহ সবকিছুকেই তার নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেন। কেউ এদিক-ওদিক করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। সাংবিধানিক শর্তে নির্বাহী কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবেন। কথাটা হলো ‘বাধ্য’। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি যে যে বিষয় কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নিতে চান তা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিন। সরকার তা পূরণ না করলে তিনি সাংবিধানিকভাবে উচ্চ আদালতের মতামত নিতে পারেন। গণভোটে যেতে পারেন। তা না করে তিনি পূর্বেকার বিতর্কিতদের হাতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নানা বয়ান দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছেন তারা সুষ্ঠু নির্বাচন ‘উপহার’ দেবেন।

গ. কমিশনের বার্তায় প্রতীয়মান হয়, অতীত বিশ্লেষণ করা হয়নি এবং বর্তমান পরিস্থিতিকেও আমলে নেওয়া হয়নি। যেন ভিন্ন গ্রহের আগন্তুক বাসিন্দা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিশনের বক্তব্য উ™£ান্ত অথবা উদ্দেশমূলক, যা সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিপন্থি। নির্বাচন কমিশন আয়োজিত বিগত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রত্যাশা বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় সিভিল সমাজ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেছেন, ‘একটি বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে, অন্য ৩০০ দলও যদি আসে, তাহলেও নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না।’ তাহলে নির্বাচন কমিশন কীভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবে? বিগত সংসদ উপনির্বাচনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে শতকরা ৫ ভাগ ভোট পড়েনি। ভবিষ্যৎ হবে আরও সংঘাতময়। সে ক্ষেত্রে ভোটাররা স্বেচ্ছায় ভোট দিতে আসবেন?

২. কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। বিদ্যমান অবস্থায় এক্ষেত্রে কমিশন কী কী পদক্ষেপ নেবেন বা নিচ্ছেন তা জানা নেই। একজন কমিশনার বলেছেন, ‘নির্বাচন আদৌ হবে কি না এখনই বলতে পারব না।’ অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে কমিশন যেখানে নিশ্চিত নন-জনগণ তাহলে নির্বাচন সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পাচ্ছে না। বাংলাদেশে আগত নির্বাচন নিয়ে শুধু দেশবাসী ভাবছে না-বিদেশিরাও ভাবছেন। তারা বারবার বলে চলেছেন অবাধ, সুষ্ঠু ও ক্রেডিবল নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে যে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, বিপর্যয় সৃষ্টি হবে তার ফলশ্রুতিতে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ এ দেশে তাদের বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশ চিন্তিত। তাদের পুঁজি ও তৎসংশ্লিষ্ট স্বার্থরক্ষার জন্য তারা নিশ্চুপ থাকবে? থাকেনি। সে জন্য দফায় দফায় তারা আসছেন। যাচ্ছেন। স্যাংশন দিচ্ছেন। অন্যান্য বিধিনিষেধ দেওয়ার সক্রিয়তায় রয়েছেন।

৩. ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। সংসদ থাকবে। ’১৮ সালে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট দিতে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছে ওয়াদা করেছিলেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতেন। নির্বাচনের পদ্ধতির একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে পারতেন। যে সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন তা তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি বলেই আজ চরম অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতার জন্ম দিয়েছে। দেশ চরম সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

৪. এ পটভূমিতে আমরা কেমন নির্বাচন চাই, সে নির্বাচন কীভাবে হবে, তার জন্য সংলাপ ছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিদ্যমান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য রাজনৈতিক ও আইনি সংস্কার দরকার। কিন্তু শুধু আইনি সংস্কার করেই সমস্যার সমাধান হবে না, বড় দুই দলের মধ্যে এমন একটি বোঝাপড়া হতে পারে যে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা বিরোধীদের প্রতি বৈরী আচরণ করবে না। প্রতিশোধের রাজনীতি বর্জনের অঙ্গীকার করবে। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যার ফলে পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করবে। এর সঙ্গে যুক্ত করে এ কথাও বলা যায়, সংবিধান মানুষের জন্য। বাংলাদেশের সংবিধান রিজিড নয়, ফ্লেক্সিবল। সংশোধন করা সম্ভব।

৫. চলতি ১৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক দেশে নির্বাচন হবে।’ এ কথাটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক ধারায় ব্যাখ্যা করা যায়। আমি ইতিবাচকভাবে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে দেখতে চাই। তিনি সম্ভবত বলতে চেয়েছেন, নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণভাবে, অবাধে ও নিঃসংকোচচিত্তে ভোট দিতে পারবেন। অর্থাৎ কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অবৈধ উপায়ে ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা, মাস্তানি, গুন্ডামি ও নিশিরাতের ভোটের যেসব কায়দা কৌশল অতীতে হয়েছে তা বরদাশত করবেন না। এর অর্থ হলো- প্রশাসন, পুলিশ, আমলা সর্বস্তরের ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা তারা নিরপেক্ষ থাকবেন। কথাটি এখানে শেষ করে দিলেই ভালো হতো। কিন্তু ওয়াদা ভঙ্গের ইতিহাস বাংলাদেশে চিরায়ত। ’১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আমার ব্যক্তিগত যে অভিজ্ঞতা তা লিখতে গেলে এক বিরাট ফিরিস্তি হয়ে যাবে। শুধু বলতে চাই, আমার দুটো গাড়ি প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করে। কমপক্ষে আঠারোবার আমার ওপর আক্রমণ চলে। অবৈধ অস্ত্রের গুলিবর্ষণ, লাঠি, রামদা, হাঁসিয়া এবং বোমা দিয়ে আক্রমণের তিক্ত অভিজ্ঞতা নির্বাচনি এলাকার ভোটাররা ভুলে যাননি। প্রশাসন পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগ। এবার জনগণ স্পষ্ট বলে দিয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে তারা বিরত থাকবে। ওই নির্বাচনে এখনো পাবনা-১ নির্বাচনি এলাকার কয়েক শ নেতা-কর্মী-সমর্থক মামলায় জড়িত। বিভিন্ন অজুহাতে এখনো হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। 

৬. গত কয়েক মাস ধরে সাঁথিয়া থানার নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হাফিজ ও তার কয়েক শ সমর্থককে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী বাহিনী সোনাতলা গ্রাম থেকে কথিত পুলিশি সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রামছাড়া করেছে। চলতি মাসের ১৩ ও ১৪ তারিখে কী ঘটেছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান আবদুল হাফিজের ভাষ্যে বিবৃত হয়েছে। তিনি লিখেছেন- ‘সাবেক চেয়ারম্যান হারুন ও তার গুন্ডাপান্ডা দেশীয় অস্ত্রসহ আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও আমার মা-বাবা, বড় ভাইকে মারধর করে। অতর্কিত হামলা চালায়।’ চেয়ারম্যান মহোদয় আরও লিখেছেন- ‘তিনি  প্রশাসন ও স্থানীয় এমপি (ডেপুটি স্পিকার) মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে আমার যদি এরকম হয় তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থা কেমন হবে এটা একবার ভাবুন।’

৭. এটা শুধু একটি গ্রামের বা এলাকার চিত্র নয়, স্বার্থ যেখানে প্রবল সেখানে দেশপ্রেম, আদর্শ, মানবিকতা পালিয়ে যায়। বর্বরতা যেখানে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পায় দুর্বলরা সেখানে নিশ্চুপ। আমজনতা ভীত এবং নিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্ত। বর্তমানে সরকার ভালো নির্বাচন করতে চাইলেও এখন কি তা সম্ভব? রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বত্র দলীয়করণ। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান কীভাবে করবেন? প্রতীয়মান হয়, চতুরপাশের চক্র গণআকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের অলঙ্ঘনীয় বাধা।

৮. ২০১৪ ও ২০১৮-এর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে বিরাট আস্থাহীনতার জন্ম দিয়েছে তার দাওয়াই দৃশ্যমান নয়। কীভাবে এবার এ সংকটময় মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? হতে পারে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা গ্রহণকারী ও সুবিধাভোগীদের ‘ভাতা বন্ধের হুমকি’ দিয়ে ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেন। এর জন্য পুলিশ-প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার মেম্বার-কাউন্সিলরদের কাজে লাগাবেন। এতেও কাজ হবে না। এটা মানবতা ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি। নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।

৯. এবারের নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরীক্ষা। কথাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। পরীক্ষার অর্থ হলো পাস বা ফেলের বিষয়। পরীক্ষায় পাস করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। নাকি অন্য কোনো উপায়ে? সেটা সরকারপ্রধানই ভালো জানেন। বাংলাদেশে এ জটিল ও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে যেখানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চরম আকারে ধারণ করেছে এবং রিজার্ভ কমে আসছে সেক্ষেত্রে অর্থ পাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা আশু কর্তব্য। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ফেল করলে দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে এটা নিশ্চিত বলা যায়। কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিক তা চান না।

১০. বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, আস্থা ও বিশ্বাস শূন্যের কোঠায়। ১৮ অক্টোবর আন্দোলনরত দলগুলো পরস্পরের প্রতি শেষ বার্তা দিয়েছেন। যে বার্তা নতুন নয়- তবে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে শান্তি উন্নয়ন ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। আড়াই হাত লাঠি নিয়ে শান্তি সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার আহ্বানে প্রতীয়মান হয় সরকারি দল নিজের হাতে আইনি কার্যক্রম তুলে নিতে চায়। অতীতের রক্তাক্ত লগি-বৈঠার ঘটনাবলি কি সামনে চলে আসছে?

 

লেখক : ’৭২-এর খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সর্বশেষ খবর