সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধ্বংস উপত্যকা গাজা

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কাম্য

ফিলিস্তিনের গাজা নগরী ধ্বংস উপত্যকায় পরিণত হয়েছে দুই সপ্তাহের বোমা হামলায়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একজন মহিলা সদস্য গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে এক বছরে যে পরিমাণ বোমা ফেলেছে ইসরায়েল ১০ দিনেই তার চেয়ে বেশি বোমা ফেলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বিশ্ব বিবেকের আপত্তি সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় পানি, খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গাজায় তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। হামাসের ঘাঁটি, ট্যাংক বিধ্বংসী লঞ্চার ও বিভিন্ন অবকাঠামো ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তু। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ায় শনিবার রেড ক্রিসেন্টের মাত্র ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে। মিসর থেকে ছোট একটি কনভয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। হামাসের মিডিয়া অফিস বলেছে, শনিবার যে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে তাতে রয়েছে ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী এবং সীমিত পরিমাণ টিনজাত খাদ্যপণ্য। গাজার বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ২০ ট্রাক ত্রাণসহায়তাকে ‘মহাসাগরে এক ফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করেছে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা। গাজা উপত্যকার গাজা শহর বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতি এলাকা। নির্বিচার বোমা হামলায় গাজার অর্ধেকের বেশি অধিবাসী ইতোমধ্যে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়ানোর কৌশলই বেছে নিয়েছে। এ সংঘাত আরও চলতে থাকলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠতে পারে। বিশেষ করে ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ যুদ্ধে জড়িত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনাই হবে বিদ্যমান সংকট মোকাবিলার সর্বোত্তম পথ।

সর্বশেষ খবর