সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যাংকিং খাতে সুরক্ষা

চাই সাইবার হামলা রোধের সক্ষমতা

দুনিয়ার অগ্রসর সব দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতও প্রযুক্তিনির্ভর। এনালগ যুগের বিদায় ঘটছে ব্যাংকিং খাত থেকে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি যথাযথভাবে আয়ত্ত এবং তার সুরক্ষার ব্যাপারে রয়ে গেছে ঘাটতি। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের ৮০ ভাগ ব্যাংক ২০২২ সালে সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ঘটেছে তথ্য চুরির ঘটনা। ভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। এ ধরনের ঝুঁকি প্রতিরোধের সক্ষমতা নেই দেশের ৮০ ভাগের বেশি ব্যাংকের। ব্যাংক খাতের লেনদেন থেকে শুরু করে হিসাব-নিকাশ এখন প্রযুক্তিনির্ভর। কিন্তু সেই প্রযুক্তি ব্যবস্থা কতটা সুরক্ষিত তা জানার উদ্যোগ নিয়েছিল বিআইবিএম। এ জন্য সংস্থাটি দেশের ৩২টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর জরিপ চালিয়েছে। জরিপে উঠে এসেছে দেশের ৮১ শতাংশ ব্যাংকের সিস্টেম কোনো না কোনো সময় বন্ধ হয়েছে দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে। তথ্য চুরি হয়েছে ১১ শতাংশ ব্যাংকের। ম্যালওয়্যার ভাইরাস বা হামলার শিকার হয়েছে ৬১ শতাংশ ব্যাংক। সার্ভারে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে ১৫ শতাংশ ব্যাংকের। আর প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে ২০ শতাংশ ব্যাংকে। তথ্য হারানো গেছে ৮১ শতাংশ ব্যাংকের। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের ব্যাংকিং খাত তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে পরিচালিত হলেও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা সমস্যার উদ্ভব ঘটাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তির আপডেট হলেও দেশের ব্যাংকগুলোতে আপডেট করার ক্ষেত্রে মাসের পর মাস শুধু নয়, বছরও পার হয়। ফলে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা সময়মতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। সাইবার হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতিও কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকনোলজি ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাংক খাত থেকে যে অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে তার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যবহার হলে সাইবার হামলার ঝুঁকি থেকে ভবিষ্যতে মুক্ত থাকা সম্ভব হবে। ব্যাংকে জমা থাকে সাধারণ মানুষের অর্থ। যে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো ব্যবসা করে। এ অর্থের নিরাপত্তার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যেমন বাড়ানো দরকার তেমন বাড়াতে হবে সাইবার হামলা মোকাবিলার দক্ষতা।

সর্বশেষ খবর