সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মালালা

আফতাব চৌধুরী

আধুনিক নারী শিক্ষা আন্দোলনের জ্বলন্ত প্রতীক হলেন মালালা। কিন্তু কে এই মালালা? তার পরিচয় আমরা হয়তো অনেকেই জানি। পাকিস্তানের সোয়াত প্রদেশের সিংগোরা নগরের ১৫ বছরের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। মালালার বাবা জিয়া উদ্দিন একজন স্কুলশিক্ষক। বাবার কাছে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষার প্রতি আগ্রহান্বিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি, বাদ সাধল পাকিস্তানের তালেবানি উগ্রপন্থিরা। তালেবানিরা নারী শিক্ষার ঘোরবিরোধী। তারা সমন জারি করল- ‘পাকিস্তানে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না।’

পাকিস্তানের বিশেষ করে সোয়াত প্রদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালেবানরা এই বলে হুমকি দিল যে, মেয়েদের স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করতে হবে অন্যথায় এর পরিণতি হবে ভয়ংকর। ব্যক্তিগতভাবেও তারা অনেক পরিবারকে হুমকি দেয়, যেসব পরিবার থেকে মেয়েরা স্কুলে যাবে সেসব পরিবারকেও শাস্তি দেওয়া হবে। তালেবানদের শাস্তির অর্থই হলো মৃত্যুদন্ড। এদিকে এলাকার অধিকাংশ পরিবার ভয়ে তাদের মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল, ফলে বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রীসংখ্যা দিন দিন কমতে লাগল। তালেবানদের ভয়ে পাকিস্তানে, বিশেষ করে সোয়াত প্রদেশের, কেউ এর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। যে ক’জন মেয়ে সাহসে ভর করে শিক্ষার আগ্রহে বিদ্যালয়ে যেত, যাদের নিয়েই কোনোরকম বিদ্যালয় চলত; তাদেরই একজন মালালা। ফলে তালেবানরা নতুন কৌশল অবলম্বন করে। ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কট্টরপন্থি তালেবানরা প্রায় ৭৫০টি বিদ্যালয় ধ্বংস করে বলে জানা যায়। গত বছর জাতিসংঘের তরফে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এখনো পাকিস্তানে প্রায় অর্ধেক শিশু ও প্রায় ৭৫ শতাংশ মেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।    

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর