মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রেমিট্যান্সে প্রণোদনা

হুন্ডি ঠেকাতে আরও কঠোর হতে হবে

প্রবাসীরা যাতে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠান তা নিশ্চিত করতে ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আগে থেকে দেওয়া হচ্ছে শতকরা আড়াই শতাংশ। বাদবাকি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হবে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ডলার প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স আনতে ডলারের নতুন দর নির্ধারণ করেছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে প্রবাসীরা প্রতি ডলারে ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবেন, যেখানে আন্তব্যাংক বিনিময় হারে ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। গত শুক্রবার রাতে এবিবি ও বাফেদা এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিতে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবগতির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বিনিময় হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে ডলারের সব দর আগের মতোই থাকবে। হুন্ডি কমাতে বিনিময় হার আরও বাজারমুখী করতে টাকার মান কমানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন প্রেক্ষাপটে হুন্ডি ও খোলাবাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রেমিট্যান্স আনতে বিনিময় হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ফল দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের রপ্তানি আয় ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আয় বৃদ্ধির হারও সন্তোষজনক। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিও বাড়ছে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুটি প্রধান খাতে ইতিবাচক প্রবাহ থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক থাকারই কথা। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উল্টো। হুন্ডি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা গিলে খাচ্ছে। হুন্ডি বন্ধে কড়া নজরদারির প্রয়োজন থাকলেও সে বিষয়ে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে। যে ব্যর্থতায় মুদ্রাস্ফীতি লাগামহীন হয়ে পড়ছে। সরকারের গ্রহণযোগ্যতায় আঘাত হানছে। এ বিষয়ে সতর্ক না হলে প্রণোদনা দিয়েও সুফল অর্জিত হবে কি না তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়।

সর্বশেষ খবর