মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডায়াবেটিস

আফতাব চৌধুরী

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র আজকের যুগের অন্যতম মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ রোগের সঙ্গে খাদ্যের গভীর সম্পর্ক আছে সে কথাও সবাই জানেন। তাই এ রোগে আক্রান্তদের কী ধরনের খাদ্য গ্রহণ করা উচিত সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ বর্তমানকালে যথেষ্ট বেড়েছে। কেউ কেউ মনে করেন আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়েছে। শহরকেন্দ্রিক মানুষের তুলনামূলক অলস জীবনযাপন আর এর সঙ্গে অতিরিক্ত কথিত ‘সুখাদ্য’ এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি করেছে। ডায়াবেটিস হলে দেহে পরিমাণমতো ইনসুলিন তৈরি হয় না বা তার ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণে দেহে চিনিজাতীয় খাদ্য ভেঙে নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। বহুমূত্রের পথ ধরে রোগীর দেহে হৃদরোগ, কিডনিসহ নানা জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রথমেই খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ চিনিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া যথাসাধ্য বন্ধ রাখতে হবে। যদি নিয়মিত ব্যায়াম না করেন তবে যতই ওষুধ গ্রহণ করুন না কেন, তাতে রক্তে চিনির মাত্রা হ্রাস পাবে না। বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণ হবে না। একই সঙ্গে ডায়াবেটিসের পথ ধরে অন্যান্য রোগের আক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে থাকবে। একজন সাধারণ মানুষ যে পরিমাণ শর্করাজাতীয় খাদ্য অর্থাৎ ভাত বা রুটি খান ডায়াবেটিসের রোগী মোটেও সে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে পারবেন না। তার যে পরিমাণ ক্যালরির প্রয়োজন পড়ে তার মধ্যে ৬০-৭০ শতাংশ শর্করা খাদ্য হওয়া উচিত। এরপর বাকি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ প্রোটিন বা আমিষ এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ফ্যাট বা স্নেহজাতীয় খাবার থেকে অর্জন করা উচিত। সাধারণভাবে পূর্ণবয়সী মানুষের দেহের ওজন যত কিলোগ্রাম হবে তত গ্রাম আমিষ তাকে খেতে দিতে হবে। অর্থাৎ কারও ওজন যদি ৭৫ কিলোগ্রাম হয় তবে তাকে ৭৫ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করতে হবে। তবে শিশুদের বেলায় এ পরিমাণ একটু বাড়বে।    

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর