বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় গণহত্যা

চাই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা জোরেশোরে চলছে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েও থামছে না জায়নবাদী বর্বরতা। অব্যাহত ইসরায়েলি হামলার মুখে ফিলিস্তিনিরা দৃশ্যত একা। তাদের পাশে কেউ-ই নেই। তবে ফিলিস্তিনি গণহত্যায় ইসরায়েলকে মদদ জুগিয়ে চলেছে জগৎজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় ওয়াচডগের ভূমিকা পালনকারী যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের পক্ষে সামরিক তৎপরতাও বাড়িয়ে চলেছে তারা। পাশাপাশি তাদের পররাষ্ট্র সচিব হুমকি দিয়েছেন তাদের ওপর হামলা হওয়া মাত্রই বদলা নেওয়া শুরু হবে। ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যায় ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এমনটি চলতে থাকলে ইসরায়েলের হাইফা শহরে তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি ট্যাংক মিসরীয় সীমান্তে হামলা চালিয়েছে এবং এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এটিকে তারা ভুল আক্রমণ বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে। হিজবুল্লাহর পাল্টা আক্রমণের ভয়ে ইসরায়েল তার লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সব নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিমানগুলো রাতভর ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং গাজার আল-শিফা ও আল-কুদস হাসপাতালের কাছাকাছি অবস্থানসহ আবাসিক এলাকাগুলোতে বোমাবর্ষণ করেছে। ইসরায়েল রবিবার দিনগত সারা রাতে দক্ষিণ লেবাননে এবং  সোমবার প্রথম প্রহর থেকে গাজার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে। গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কয়েকদিন ধরে। কিন্তু হামাসের প্রতিরোধের আশঙ্কায় হামলা শুরুতে সময় নিচ্ছে। ইসরায়েলের পক্ষে সমস্ত পশ্চিমা দেশের সমর্থন থাকায় তারা ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সব অবস্থান লন্ডভন্ড করে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে বলে মনে হয়। বিশেষত স্থল হামলা চালালে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি শুধু নয় গাজা এলাকা পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এ অবস্থায় গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে বিশ্বসমাজ এগিয়ে আসবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর