বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড় হামুন

আঘাত হেনেছে কক্সবাজার উপকূলে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতির এ ঘূর্ণিঝড় চার ঘণ্টা ধরে কক্সবাজারের ওপর তাণ্ডব চালায়। রাত ১০টার পর ঝড়ের গতি অনেকটা কমে যায়। কক্সবাজার থেকে তা পাড়ি জমায় মিয়ানমারে। ঘূর্ণিঝড়ে তিনজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে বেসরকারিভাবে। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বলেছেন, মৃতের সংখ্যা দুই। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলের অনেক জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এতে প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ে কক্সবাজার শহরের গাছপালা, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সঞ্চালন লাইন। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। কক্সবাজার জেলা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে বাঁচতে পৌনে ৩ লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের লঞ্চযাত্রীরা বিপাকে পড়েন। ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি চাষিদের জন্য এবারের ঘূর্ণিঝড় ছিল ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’-এর মতো। তবে ঘূর্ণিঝড় হামুনকে কেন্দ্র করে জনমনে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে উপকূলের মানুষ রক্ষা পেয়েছে ঝড়ের গতি কম থাকায়। নিচু এলাকা থেকে মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষত, ঘূর্ণিঝড়-বন্যা বাংলাদেশের প্রকৃতির অনুষঙ্গ। মানুষের জীবনেরও অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই দুর্যোগকে ভয় করা নয়, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থেকে বিপদ এড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর