বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাতালরেল যুগে বাংলাদেশ

রাজধানীর যোগাযোগে আনবে স্বস্তি

উড়ালপথের মেট্রোরেল চালুর পর ঢাকাবাসীকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে পাতালরেল প্রকল্প। ২০২৬ সালের মধ্যেই ঢাকাবাসী পাতালরেলে চড়তে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে পাতালরেলের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের পূর্ণতা দিতে মেট্রোরেল লাইন-১-এর আওতায় দুটি রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি লাইন বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ মাটির নিচ দিয়ে যাবে। আর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথ। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫২ হাজার কোটি টাকা। দেশের প্রথম পাতালরেলের ডিপো নির্মাণ করা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চিতলগঞ্জে। মেট্রোরেলের লাইন-৬ বাস্তবায়নের সুফল ইতোমধ্যে ঢাকাবাসী পেতে শুরু করেছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল নিয়মিতভাবে যাতায়াত করছে। ৪ নভেম্বর মতিঝিল পর্যন্ত চালু হবে মেট্রোরেল লাইন-৬। একইভাবে লাইন-১ বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে লাইন-৬ বাস্তবায়নের বেলায় ঢাকাবাসীকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না পাতালরেল নির্মাণের ক্ষেত্রে। কেননা পাতালরেলের লাইন স্থাপনের সব ধরনের কাজই সম্পন্ন হবে মাটির নিচে। স্মর্তব্য, পৃথিবীর যেসব শহরের মেট্রোরেল সফল ও জনপ্রিয় তার বেশির ভাগই মাটির নিচে। পাতালরেল নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পাতালপথে রেলস্টেশন থাকবে ১২টি- কমলাপুর, রাজারবাগ, মালিবাগ, রামপুরা, আফতাবনগর, বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার, নর্দা, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ ও বিমানবন্দর। মেট্রোরেলের পাতালরেল অংশের নির্মাণের সিংহভাগ খরচ জোগাবে জাপানের জাইকা। বাদবাকি খরচ দেবে বাংলাদেশ সরকার। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে পাতালরেলের যোগসূত্র থাকায় তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের শিরস্ত্রাণে সাফল্যের সোনালি পালক হিসেবে বিবেচিত হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর