শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরকারি মেডিকেল কলেজ

আসন বাড়ানো হচ্ছে কোন যুক্তিতে

দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর আসন সংখ্যা আরও ১ হাজার ৩০টি বাড়ানো হয়েছে। ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় যে আরও অনেক চিকিৎসক দরকার তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজগুলোতে এমনিতেই শিক্ষকসহ সার্বিক জনবল সংকট রয়েছে। অবকাঠামোগত সংকটও প্রকট। আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও ল্যাব সুবিধায়ও রয়েছে ঘাটতি। এ প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের দিকে না গিয়ে আসন সংখ্যা রাতারাতি ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি যৌক্তিক কি না প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত যৌক্তিকভাবে নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সব কটিই ভুগছে শিক্ষক সংকটে। শিক্ষার্থীদের সর্বাধুনিক শিখনপদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ক্লাস, পরীক্ষাগার ও হাসপাতালে প্রশিক্ষিত করা খুবই জরুরি। সরকার গত দেড় দশকে ২০টি নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু নতুন শিক্ষা উপকরণ বাড়ানো হয়নি। এমন অনেক মেডিকেল কলেজ রয়েছে যাদের নিজস্ব একাডেমিক ভবনই নেই। নিজস্ব হাসপাতাল নেই। এসব মেডিকেল কলেজে রয়েছে পরীক্ষাগার, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, যোগ্য শিক্ষক ও লোকবলের অভাব। এসব সমস্যার সমাধান না করে কলেজগুলোর আসন সংখ্যা যত বাড়ানো হবে চিকিৎসা শিক্ষার মানও তত নিম্নগামী হবে। এ ধারা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে হুমকিতে পড়বে দেশের চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য খাত। সহযোগী দৈনিকে প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধির যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্বেগের। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর একাংশ তো নিছক অর্থ উপার্জনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সবারই জানা, নাগরিকদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ এখনো পরনির্ভরশীল। প্রতি বছর বিদেশে চলে যাচ্ছে শত শত কোটি টাকা। এটি বন্ধে দেশে যোগ্য চিকিৎসক ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। যেনতেন ব্যবস্থায় কোনো সুফল অর্জিত হবে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর