শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কর্ণফুলীতে টানেল

চট্টগ্রাম এখন ওয়ান সিটি টু টাউন

দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে টানেলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর মাধ্যমে পূরণ হবে আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি। যে মুহূর্তে দেশের সংসদবহির্ভূত বিরোধী দলগুলো রাজপথ দখলে ব্যস্ত, সে মুহূর্তে একের পর এক মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের মাধ্যমে নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার দেশবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করছে। দুই পক্ষের দুই কৌশলে দেশবাসী কোন দিকে থাকবে তা জানা যাবে আগামী তিন মাসের ঘটনাপ্রবাহে। কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ একদিকে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে, অন্যদিকে বহির্বিশ্বে জেগে ওঠা বাংলাদেশের বিষয়টি স্পষ্ট করবে। চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা এ টানেল, চট্টগ্রাম শহরের পতেঙ্গা ও আনোয়ারাকে যুক্ত করবে। একই সঙ্গে নদীর তলদেশ দিয়ে কম সময়ে দুটি আলাদা এলাকায় যাতায়াত সুবিধা পাবে। শুধু তাই নয়, এটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ সংযোগ গড়ে উঠবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের ফলে কর্ণফুলী নদীর পূর্বপ্রান্তের অর্থাৎ দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহরের যোগাযোগেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ঢাকা হয়ে সড়কপথে কক্সবাজার পর্যন্ত যোগাযোগ পাবে নতুন গতি। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলটির নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। প্রায় ৩০ বছর আগে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনে অন্যতম দফা ছিল নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ। কর্ণফুলীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নতুন পরিচিতি গড়ে তুলবে বিশ্বজুড়ে। এটি শুধু বিশেষ শহর বা এলাকা নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর