রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্যাস সংকট

দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজুন

সারা দেশে চলছে গ্যাস সংকট। গ্যাস সংকটে রান্না করতে গিয়ে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় পড়ছেন গৃহবধূরা। বাধ্য হয়ে অনেকে এলপিজি গ্যাসের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও পড়তে হচ্ছে বিপাকে। কারণ এজন্য ব্যয় হচ্ছে বাড়তি টাকা। গ্যাস সংকটে সবচেয়ে বিপাকে শিল্পমালিকরা। দেশের অর্থনীতির জন্য গ্যাস সংকট বাজে নজির হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও আশপাশের নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, আশুলিয়া এবং চট্টগ্রামের শিল্প এলাকাগুলোয়ও গ্যাস সংকটে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। সিএনজি স্টেশনগুলোয় গ্যাসের কাক্সিক্ষত চাপ না থাকায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। মূলত দেশি গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস উৎপাদন কমে আসায় এবং সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বেশি করায় অন্যান্য শিল্পে গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ সংকট তীব্রতর হচ্ছে। পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। কয়েক দিন ধরে গড়ে সরবরাহ করা হচ্ছে ২৬৫ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে দিনে ৬০ কোটি ঘনফুট। যদিও দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের কথা। দেশে বর্তমানে ২৮টি গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। দেশি গ্যাস ক্ষেত্র থেকে সাধারণত দিনে ২২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়, যা এখন ১৫ কোটি ঘনফুটের মতো কমেছে। দেশি গ্যাস ক্ষেত্রগুলোয় উৎপাদন কমায় সংকট ঘনীভূত হয়েছে। বোরো মৌসুমের কথা মনে রেখে সার উৎপাদনে বেশি গ্যাস দিতে হচ্ছে। দেশ গ্যাসের ক্ষেত্রে এখন অনেকাংশে আমদানিনির্ভর। নির্বাচনের আগে দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের একটিকে রক্ষণাবেক্ষণে নেওয়া হবে নভেম্বরে। এমনটি হলে গ্যাস সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। চলতি বছরের এপ্রিলেই টার্মিনালটির রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গ্যাস সংকটের কথা মনে রেখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছিল। টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণ না করে চালু রাখলে এটি বিকল হয়ে পড়লে তা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। শিল্প উৎপাদন এবং আবাসিক চাহিদা মেটাতে কীভাবে কার্যকরভাবে গ্যাস সরবরাহ করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর