রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি

নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিন

নিত্যপণ্যের বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সাধারণ নির্বাচনের ঠিক আগে সরকারের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতি। আবহাওয়ার অশুভ পরিবর্তনে চলতি বছর সব ধরনের সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কয়েক মাস ধরে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করতে হচ্ছে, যা অতীতে কখনই ঘটেনি। বিদেশে আলু রপ্তানির ভুল সিদ্ধান্তে কয়েক মাস আগে বাড়তে শুরু করে আলুর দাম। পাঁচ মাসের ব্যবধানে তা শতকরা ৩০০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় ঠেকেছে। ভোক্তাপর্যায়ে ডিম-আলু-পিঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে নির্ধারিত দাম বেঁধে দেয় সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় প্রতি পিস ডিমের দাম ১২, প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ ও পিঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউই মানছে না। উল্টো দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে এ পণ্যগুলো। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ১১০ এবং ভারতীয় পিঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের মান ও সাইজ ভেদে প্রতি হালি ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। খুচরা পর্যায়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। এ অবস্থার জন্য তারা সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ছে প্রতিটি মানুষ। জীবনযাত্রার খরচ শতকরা গড়ে ৫০ ভাগ বাড়লেও গত এক বছরে বাড়েনি সাধারণ মানুষের আয়। এ একটা ইস্যুই সরকারের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ বছরের সাফল্য গিলে খাচ্ছে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা। এজন্য নিজেদের স্বার্থেই সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। দাম ঠিক করে দেওয়া নয়, বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করলে সুফলে আসবেই।

 

 

সর্বশেষ খবর