সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু টানেল

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম

বাংলাদেশই পারে এমন সাফল্যের মালা গাঁথা হলো লুসাইকন্যা খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল চালুর মধ্য দিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণে বাংলাদেশই প্রথম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমিতে পৌঁছান। বঙ্গবন্ধু টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি টানেল উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে আরও ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং দুটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনও করা হয়। টানেল উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর দুপুর ১২টা দুই মিনিটে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তের টোল প্লাজায় গিয়ে থামে। চালকের পাশের আসনে বসা প্রধানমন্ত্রী নিজেই টোল তুলে দেন টোল আদায়কারী ঝুমুর আক্তারের হাতে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ঝুমুরের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বলভাবে কথা বলেন। টোল পরিশোধের পর প্রধানমন্ত্রী সেটি আবার নিরাপত্তাকর্মীদের দেখান। তারপর মাত্র ৩ মিনিটে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে টানেল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছান। চীনের সাংহাইয়ের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে একসূত্রে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এ টানেলের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন, পর্যটন, অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টানেলের কল্যাণে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। বঙ্গবন্ধু টানেলের ফলে কর্ণফুলীর দুই পাড়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটবে। দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনকারী এ মহানগরীর গুরুত্ব আরও বাড়বে। বহির্বিশ্বে দেশের সুকৃতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে এ টানেল।

সর্বশেষ খবর