বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাতিরঝিল

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কঠোর হোন

রাজধানীর ফুসফুস হিসেবে বিবেচিত হাতিরঝিল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে বর্জ্য। দেড় কোটি মানুষের মেগা সিটিতে ভ্রমণের মতো যেসব জায়গা আছে হাতিরঝিলের স্থান তার মধ্যে শীর্ষে। হাতিরঝিলে রয়েছে সুবিস্তৃত লেক। রয়েছে বৃক্ষরাজি সবুজের সমাহার। সাধারণ মানুষের বৈকালিক বা সান্ধ্য ভ্রমণ ও বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয় হাতিরঝিল। রাজধানীর যানজট নিরসনেও ভূমিকা রাখছে এর স্থল ও জলপথ। প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ হাতিরঝিল ভ্রমণে আসেন। ওয়াটার ট্যাক্সিযোগে এফডিসি ঘাট থেকে গুলশানের গুদারাঘাট যাতায়াত করেন অনেকে। একই সঙ্গে হাতিরঝিলের আশপাশের নাগরিকরা হাঁটাহাঁটিসহ শরীরচর্চা করে থাকেন। কিন্তু আশপাশের বাসাবাড়ির গৃহস্থালির ময়লা-আবর্জনা, দর্শনার্থীদের ফেলা বিভিন্ন খাবারের উচ্ছিষ্ট, চানাচুর ও চিপসের প্যাকেট, পলিথিনসহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা হাতিরঝিলের লেকে ফেলা হয় নির্বিচারে। চারপাশে গড়ে ওঠা দোকান ও রেস্তোরাঁর ময়লাও ফেলা হচ্ছে ঝিলের পানিতে। পানিতে ভাসছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা। পানির রং কোথাও কালচে, কোথাও গাঢ় নীল। এ ছাড়া পুরো হাতিরঝিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতলসহ বিভিন্ন বর্জ্য। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পান্থপথ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকা থেকে বর্জ্য ও নোংরা পানি সোনারগাঁও হোটেলের পেছনের ড্রেনসহ মোট ১১টি পয়েন্ট দিয়ে হাতিরঝিলে ঢুকে নষ্ট করছে পানির স্বচ্ছতা। বাতাসের সঙ্গে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ঝিলপাড় ও আশপাশ এলাকায়। ময়লা পানির ঘনত্বে হাতিরঝিলের ঢেউয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সাদা ফেনা। হাঁটাহাঁটি ও ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন হাতিরঝিলে। সড়কপথের যানজট এড়িয়ে অনেকেই ওয়াটার ট্যাক্সি করে এফডিসি ঘাট থেকে গুলশানের গুদারাঘাটে যাওয়া-আসা করেন। হাতিরঝিলের পানি দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় অনেকেই এ জলপথ ব্যবহারে অস্বস্তিতে ভোগেন। দুর্গন্ধ কমাতে পারলে ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে যাতায়াতে অনেকেই উৎসাহী হবেন। অনেকেই শখের বশে বেছে নেবেন ওয়াটার ট্যাক্সিতে চলাচল। হাতিরঝিলে কেউ যাতে ডাস্টবিন ছাড়া অন্যত্র কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলতে না পারে সেদিকে কঠোরভাবে দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর