শিরোনাম
রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

সবজির দাম কমলেও পিঁয়াজ ঊর্ধ্বমুখী

বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের অভিমত, হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না থাকলে দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসত। সবজির পাশাপাশি কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পিঁয়াজ। ভোক্তা পর্যায়ে ডিম-আলু-পিঁয়াজ সহনীয় রাখতে নির্ধারিত দাম বেঁধে দেয় সরকার। ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি পিস ডিম ১২, প্রতি কেজি আলু ৩৫-৩৬ ও পিঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউই মানছে না। গত রবিবার ভারত পিঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার পর বাংলাদেশের বাজারে এর দাম হুহু করে বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশি পিঁয়াজ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। আর বাজারে আগাম নতুন আলু এসেছে। কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজির আমদানি ভালো থাকায় শিম, গাজর, ফুলকপিসহ সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের সবজির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় আগামী সপ্তাহে আরও কমবে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সবজির দাম কমলেও মাছের দাম এখনো সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধির প্রবণতা আপাতত থেমে গেছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। হরতাল-অবরোধ নৈরাজ্যের রাজনীতিতে দিনে এনে দিনে খাওয়া গরিব মানুষ বিপাকে পড়েছেন। পিঁয়াজ-আলু-ডিমের মতো নিত্যপণ্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় তাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কলাকৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ক্রেতা স্বার্থরক্ষার নামে যাদের পেছনে ট্যাক্সের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ব্যয় হচ্ছে তাদের ব্যাপারে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর