সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহাসমাবেশ, সহিংসতা ও একজন ‘আরেফি’

মহিউদ্দিন খান মোহন

মহাসমাবেশ, সহিংসতা ও একজন ‘আরেফি’

বিএনপির চলমান ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন’ শেষ পর্যন্ত আর শান্তিপূর্ণ থাকতে পারল না। গত ২৮ অক্টোবর তাকে অশান্তির কালো ছায়া গ্রাস করেছে। আর তার ফলশ্রুতিতে কয়েকটি প্রাণ ঝরে গেছে। বিনষ্ট হয়েছে সম্পদ। সংগত কারণেই মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিএনপি কি তাহলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ছেড়ে আবার ২০১৪-১৫ সালের মতো সহিংস আন্দোলনের পথে পা বাড়াল? আর এ পন্থা  অবলম্বন যদি তারা করেও, তাতে কি সফলতা আসবে?

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে এখনো যেটুকু যোগাযোগ আমার আছে, তাতে এটা জেনেছিলাম, একান্ত বাধ্য না হলে তারা নেতিবাচক কোনো কর্মসূচিতে যাবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকাকে পুঁজি করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে তারা, যাতে সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়। অন্যদিকে দেশের সচেতন নাগরিকরা গোড়া থেকেই বলে আসছিলেন দুই পক্ষকে তাদের অনড় অবস্থান থেকে সরে এসে একটি সমঝোতায় উপনীত হতে। কিন্তু সরকার ও বিরোধী দল তাদের স্ব স্ব অবস্থানে এমনই দৃঢ় অবস্থান নেয় যে, তাতে সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। ২৮ অক্টোবর তার সূচনা হয়েছে।

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। কেননা, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও একই দিনে একই সময়ে স্বল্প দূরত্বে আয়োজন করেছিল তাদের ভাষায় ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ। এ ধরনের রেষারেষির কর্মসূচিতে যে কোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা থাকে। সে আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না তা বলাই বাহুল্য। যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হলো, বিএনপির মহাসমাবেশের দিনেই আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করতে হবে কেন? রাজনীতি তো পেশিশক্তি প্রদর্শনের বিষয় নয়। আদর্শ ও কর্মসূচি প্রচার করে জনগণের সমর্থন আদায়ই রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তারের প্রধান উপায়। সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, বিএনপির মহাসমাবেশের দিন আওয়ামী লীগ যদি পাল্টা সমাবেশের আয়োজন না করত, তাহলে হয়তো সংঘাতের সৃষ্টি হতো না। রাজনীতির একটি পদ্ধতি হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী দল কী বলে তা শুনে পরে তার জবাব দেওয়া। তদানুযায়ী মহাসমাবেশে বিএনপি নেতারা কী বলেন, তা শোনার পর আওয়ামী লীগ যদি সে সবের জবাব দিত অন্য কোনো দিন জনসভার আয়োজন করত, তাহলে পরিস্থিতির এমন অবনতি হতো না। কিন্তু আমাদের রাজনীতির অভিধান থেকে নিয়ম-কানুন, সহনশীলতা-শিষ্টাচার কমতে কমতে এখন তলানিতে এসে ঠেকেছে। যার ফলে এখন জনসমর্থন বাড়ানো নয়, মাঠ দখলকেই প্রাধান্য দেয় দলগুলো। আর সে কারণে রাজনীতি এখন দাবা খেলা নয়, পরিণত হয়েছে মল্লযুদ্ধে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বেশ কিছুদিন ধরে বলে আসছিল, দুই দল যদি ন্যূনতম ইস্যুতে সমঝোতায় না আসে তাহলে দেশের রাজনীতি আবার সংঘাত-সংঘর্ষের গাড্ডায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা এ সাবধান বাণীও উচ্চারণ করেছেন, রাজনীতিতে সংঘাত কখনোই ইতিবাচক ফল বয়ে আনে না। এ বিষয়ে আমাদের অতীত তিক্ত অভিজ্ঞতার ভান্ডার একেবারে ছোট নয়। অনেকবার এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আর তা থেকে ফায়দা লুটেছে সুযোগসন্ধানীরা। আফসোসের বিষয় হলো তারপরও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বোধোদয় হয়নি। ‘অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ’-একটি প্রবাদ আছে। তরকারিতে লবণ অপরিহার্য। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ দিলে তা মুখে তোলা যায় না। আবার মিষ্টিজাতীয় খাবারে চিনি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলেও অতিমাত্রায় সেটা ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ বিস্বাদে পরিণত হয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই কিছু অতিউৎসাহী কর্মী থাকে, যারা পরিণাম চিন্তা না করেই একটা কিছু করে ‘হিরো’ সাজার চেষ্টা করে। এ ধরনের অবিবেচক ও অপরিণামদর্শী কর্মীদের কারণে দল বিপাকে পড়ে। ঘটনা ঘটানোর সময় এরা ভেবে দেখে না এর ফলাফল বা পরিণতি কী হতে পারে। তেমনি ঘটনা ঘটেছে ২৮ অক্টোবর। সেদিন গাজীপুর থেকে আসা আওয়ামী লীগের মিছিল এবং একই সময়ে একই স্থান অতিক্রমরত বিএনপির মিছিলের কর্মীরা যদি সংঘর্ষে না জড়াত, তাহলে পরের ঘটনাগুলো ঘটত না। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা একই সময়ে ঘটেছে। তা ছাড়া ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনে আক্রমণ ও সেখানে পার্ক করা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা, কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ এবং একজন পুলিশ কনস্টেবলকে নৃশংসভাবে হত্যা এসবই অপরিণামদর্শী কতিপয় কর্মীর অতিউৎসাহী কর্মকান্ড; যা পরিস্থিতিকে নাজুক অবস্থায় নিয়ে গেছে।

অন্যদিকে পুলিশও সেদিন অতিউৎসাহী হয়ে পরিস্থিতির অবনতিতে ভূমিকা রেখেছে। কাকরাইল মসজিদের কাছে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ থামাতে তারা লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে ঠিক আছে। ওটা খুব বড় কোনো ঘটনা ছিল না। কিন্তু একটু পরেই তারা স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়। লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলিবর্ষণের মাধ্যমে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ছিল, মুহুর্মুহু টিয়ার গ্যাস ও গুলিবর্ষণ করে সেটাকে তারা খন্ডযুদ্ধে পরিণত করে। পুলিশের এহেন আক্রমণের মুখে স্বভাবতই বিএনপি কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আর তারপরই সংঘর্ষ প্রচন্ড রূপ ধারণ করে। আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়, সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল কাকরাইলে। পুলিশ সেখানে অ্যাকশনের পাশাপাশি তাদের বন্দুক এবং টিয়ার শেল গানের নল নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। অথচ তখন সেখানে কোনো উত্তেজনা ছিল না বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ২টায়। আর কাকরাইলে সংঘর্ষ লেগেছিল দুপুর ১২টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই বলেছেন, কোনো রকম উসকানি ছাড়াই পুলিশ নয়াপল্টনের সমাবেশে হামলা করেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা বেধড়ক লাঠিপেটা, অগুনতি টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং গুলি ছুড়েছে। আক্রান্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে। যার ফলশ্রুতিতে মুহূর্তেই নয়াপল্টন পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পুলিশ ধাওয়া করে পুরো নয়াপল্টন দখলে নিয়ে নেয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা আশ্রয় নেয় আশপাশের অলিগলিতে। এরকমই একটি গলির মাথায় বর্বরোচিত হামলার শিকার হন দুজন পুলিশ সদস্য। বিক্ষুব্ধরা তাদের নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকে। এ দুজনের একজন নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম পারভেজ। হতভাগ্য এ পুলিশ সদস্যটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজ এখন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল। ওই নৃশংস দৃশ্য সহ্য করা যায় না। এ যেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি! সৌহার্দ্য ও সহনশীলতার পরিবর্তে জিঘাংসা যখন রাজনীতিতে স্থান করে নেয়, তখনই এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে।

সরকার, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি, কোনো পক্ষই কি ওইদিনের ঘটনার দায় এড়াতে পারবে? সরকারের পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুধু ব্যর্থই ছিল না, বরং তাদের ভুল পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্ব স্ব কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা যদি কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, তাহলে কোনো ঘটনাই হয়তো ঘটত না। বিএনপি এখন প্রবেশ করেছে হরতাল-অবরোধ পর্বে। আর আওয়ামী লীগ রাস্তায় নেমেছে তাদের প্রতিহত করতে। দুই দলের এই অবস্থান দেশের রাজনীতিকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় সেটাই উদ্বেগের বিষয়।

অপরিপক্ব ও অর্বাচীন নেতৃত্ব একটি দলকে কতটা বিপাকে ফেলতে পারে, সে উদাহরণও সৃষ্টি হয়েছে ২৮ অক্টোবর। ওইদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উদয় হন ‘মিয়া আরেফি’ নামের এক ভদ্রলোক। সঙ্গে আসেন অবসরপ্রাপ্ত এবং নানা কারণে বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা লে. জে. হাসান সারওয়ার্দী। আরেফি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে আরেফি বলেন, ঘটনার সব বিবরণ ইতোমধ্যে তিনি জো বাইডেনের কাছে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আগামী ৩ নভেম্বরের পর এই সরকার আর থাকতে পারবে না। টেলিভিশনের খবরে আরেফির বক্তব্য প্রচার হওয়ার পর সবাই বিস্ময়ে হা হয়ে যান। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন উপদেষ্টা সশরীরে ঢাকায় অবস্থান করছেন, অথচ কেউ কিছু জানল না! খবর প্রচারের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস সংবাদমাধ্যমকে জানায়, মিয়া আরেফি নামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো উপদেষ্টা নেই। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। পরদিন বাইডেনের কথিত ওই উপদেষ্টা চুপিসারে দেশত্যাগ করতে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক হন। পরে জানা যায়, তার নাম ‘মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি’, বাড়ি পাবনায়। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী তিনি। মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।

মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ওরফে মিয়ান আরেফি নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে কেউকেটা সেজে প্রতারণা করেছেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রতারকরা এ ধরনের অপকর্ম হরহামেশাই করে থাকে। প্রশ্ন হলো, বিএনপি নেতারা তার কথা বিশ্বাস করে তাকে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে দিলেন কোন যুক্তিতে? টিভির সংবাদচিত্রে দেখা গেছে, ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার সংস্কারপন্থি বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন এবং বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা আরেফির দুই পাশে বসেছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অত্যন্ত আন্তরিকভাবে করমর্দন করে আরেফিকে বিদায় জানালেন। রিজভী বলেছেন, ‘ভদ্রলোক এসে নিজেকে জো বাইডেনের অ্যাডভাইজার পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন’। একজন উটকো লোক এসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাডভাইজার পরিচয় দিলেই তাকে সাদরে গ্রহণ করে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে দিতে হবে? যদি তিনি জো বাইডেনের সত্যিকারের উপদেষ্টাও হতেন, তাহলেও কি বিএনপি অফিসে তাকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া উচিত? ইশরাক না হয় রাজনীতিতে নিতান্তই নাবালক; কিন্তু রিজভী? তিনি তো বেশ পরিপক্ব। তার তো এটা বোঝা উচিত ছিল, একজন বিদেশি নাগরিক, যার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই, তাকে পার্টি অফিসে সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া রীতিবিরুদ্ধ এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। একটি ঘটনার পর যে কেউ অকুস্থল পরিদর্শন করতে পারেন।  তাই বলে সংবাদ সম্মেলন নয়।  বিএনপি নেতাদের উচিত ছিল কার্যালয় পরিদর্শন করায় আরেফিকে ধন্যবাদ দিয়ে বলা, সংবাদ সম্মেলনটি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে গিয়ে করতে। কিন্তু তারা সেটা বলেননি।   বরং টিভি ফুটেজে বিএনপি নেতাদের চোখেমুখে এক ধরনের আত্মতৃপ্তির ছটা দেখা গেছে, যেন বিরাট একটা কাজ তারা করে ফেললেন। অপরিপক্ব আর অতিউৎসাহীরা এভাবেই দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে।

বিএনপি এখন হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে আছে। শোনা যাচ্ছে, এরপর তারা লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে। তবে তা করার আগে তাদের ২০১৫ সালের তিন মাসের লাগাতার অবরোধের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করতে হবে। অপরিণামদর্শী ওই কর্মসূচি বিএনপিকে অপরিমেয় ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। দলটি কি পুনরায় তেমন কোনো ফাঁদে আটকা পড়তে যাচ্ছে?

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর