মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেট্রোরেলে জন-উচ্ছ্বাস

রাজধানীবাসীর যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক যাত্রাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন ওই রুটের যাত্রীরা। বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যেও ভয়ভীতি কাটিয়ে মেট্রোরেলে চড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্ট উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। যানজটের নগরী রাজধানী ঢাকায় যানজটের তীব্রতায় সামান্য দূরত্ব পাড়ি দিতেও লেগে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেই মহানগরীতেই দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার পথ আধা ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে পাড়ি দিতে পারার অভিজ্ঞতাকে স্বপ্নের মতো বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মেট্রোতে চড়া যাত্রীরা। অনেককেই দেখা গেছে সেলফি তুলে অভিজ্ঞতাকে ফ্রেমবন্দি করে রাখতে। চাকরির সুবাদে কাজীপাড়া স্টেশন থেকে মেট্রোতে চেপে মতিঝিল এসে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত এক যাত্রীর ভাষ্য, এত অল্প সময়ে মতিঝিলে চলে আসব কখনো ভাবিনি। যানজটের এই শহরে মেট্রোরেলের এ যাত্রা আসলেই স্বপ্নের মতো। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল ছিল পূর্বনির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এই চার ঘণ্টায় যাত্রীরা উঠতে-নামতে পেরেছেন মতিঝিল, সচিবালয় ও ফার্মগেট স্টেশনে। তবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনে মেট্রো চলাচল ছিল আগের মতোই রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আগামী তিন মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে দুই অংশের মেট্রো চলাচলের সময় সমান করা হবে। খুলে দেওয়া হবে বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন। মেট্রোরেলের এ অংশটি সম্প্রসারিত হবে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। এর ফলে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে মেট্রোরেল ব্যবহার করা সম্ভব হবে। একই সুযোগ পাবেন বিমানবন্দরের যাত্রীরা। মেট্রোরেলের ফলে রাজধানীর যানজট কিছুটা হলেও কমবে। হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পাতালরেল তৈরির কাজও চলছে। এর ফলে রাজধানীর যাতায়াত ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। আসবে স্বাচ্ছন্দ্য।

সর্বশেষ খবর