বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা

বিশ্ব শান্তির জন্যই জরুরি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশের নারীরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সব সময় প্রথম সারিতে থেকেছেন। নারীরা নিজেরাই যেন কাজের মাধ্যমে তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারেন তিনি তাদের সেই আহ্বান জানান। সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় ‘ইসলামে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি এবং অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধেরও উদাত্ত আহ্বান জানান। গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতির জন্য তিনি সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, ‘ভয়াবহ যুদ্ধ, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসতে হবে।’ আমাদের অবশ্যই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পক্ষে বাংলাদেশের ভূমিকা অব্যাহত রাখার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তাদের মুসলিম নারীদের আওয়াজ শুনতে হবে। ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী ও শিশুদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংসতার নিন্দা করে বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, এ নৃশংসতা, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অমানবিক নির্যাতনের শিকার দুই লাখ নারীর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এ নৃশংস ঘটনাগুলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাবা-মা এবং নারী ও শিশুসহ পরিবারের অন্য সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এটি মিয়ানমারের হাজার হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতনের দৃশ্যকেই ফুটিয়ে তোলে- যারা নৃশংসতার শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্টে আমাদের সীমান্তে আশ্রয় চেয়েছিল। জেদ্দায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই প্রাথমিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং অবৈধ দখলদারিত্ব রোধের যে দাবি তিনি তুলেছেন সে বিষয়ে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশ্বের বিবেকবান সব মানুষকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আনতে হবে। ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে বিশ্বসমাজকে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বশান্তির জন্যও তা প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি বিষয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর