বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে নতুন মজুরি

৫৬.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি ইতিবাচক

গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন মজুরি নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন মজুরি কাঠামোয় সর্বনিম্ন মজুরি হবে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। গার্মেন্ট মালিকরা নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নকে তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন। তবে তারা মজুরি বোর্ডের সুপারিশ মেনে নিয়েছেন। সাধারণ শ্রমিকরা ৫৬.২৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধিকে ইতিবাচক চোখে দেখছেন। তবে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ১১টি সংগঠন মজুরি বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী মালিক ও শ্রমিক পক্ষকে নিয়ে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বৃদ্ধির জন্য। মালিকদের বলব ফ্যাক্টরি খুলে দেবেন, শ্রমিকদের বলব কাজে যোগদান করতে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল থাকবে। সবশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচ বছরের জন্য পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি ঘোষণা করার দাবি ছিল শ্রমিকদের। পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করতে গত এপ্রিলে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। গত ২২ অক্টোবর এই বোর্ডের চতুর্থ সভায় শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা ন্যূনতম মজুরির প্রস্তাব করে। আর মালিক পক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেয়। ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অথচ ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে আন্দোলন শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা। পরে তা আশুলিয়া, সাভার ও ঢাকার মিরপুরে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হয়। আশা করা হচ্ছে, নতুন মজুরি কাঠামো গার্মেন্টে শান্তি ফিরয়ে আনবে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ শিল্পে অব্যাহত শান্তি বজায় রাখতে হবে শ্রমিক-মালিক দুই পক্ষকেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর