শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিপন্ন ফিলিস্তিন

নারী শিশু হত্যা মেনে নেওয়া যায় না

ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল ইহুদিবাদী দেশটি তা সুদাসলে উসুল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। হামাসের আস্তানা গাজা এখন ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে। তারা চাচ্ছে হামাসের প্রতিরোধ ক্ষমতার ইতি ঘটাতে। ইতোমধ্যে তাদের টার্গেট গাজার বিস্তীর্ণ ভূগর্ভজুড়ে হামাসের যে যুদ্ধ টানেল রয়েছে, সেগুলোতে প্রবেশ করা। দৃশ্যত ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষে তা কঠিন হলেও অসম্ভবকে সম্ভব করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। এ জন্য তারা এখন অনেক বেশি শক্তিশালী বোমা এবং চেতনানাশক গ্যাস হামলার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। এতে যুদ্ধ মাটির ওপরে এবং নিচে পর্যন্ত বিস্তৃত হতে চলেছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের স্থলবাহিনী প্রবেশের পর হামাস যোদ্ধাদের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের সুনির্দিষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করে একে অকার্যকর করার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে বাহিনী। ইসরায়েল দাবি করেছে, এ অঞ্চলে হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থান, গাজা শহরকে তারা চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। তাদের সেনাবাহিনী এ জনবসতিপূর্ণ শহরের একেবারে কেন্দ্রে ঢুকে পড়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, ইসরায়েলের লক্ষ্য এখন একটাই, সেটা হলো গাজায় অবস্থানরত হামাসের যোদ্ধা, তাদের অবকাঠামো, বাঙ্কার ও যোগাযোগব্যবস্থা ধ্বংস করা। ইসরায়েলের কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের সদস্যরা বিস্ফোরক উপকরণ ব্যবহার করে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করছে। এ সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কটি গাজার মাটির নিচে কয়েক শ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। হামাসের দাবি, তাদের যোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। গাজার যুদ্ধে ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষের কার কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করা কঠিন হলেও এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছেন অন্তত সাড়ে ১০ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের সিংহভাগ শিশু ও নারী। বিশ্বসমাজকে যুদ্ধ বন্ধে সরব হতে হবে। তাদের বুঝতে হবে গাজায় শুধু হামাস নয়, সেখানে রয়েছে শিশু ও নারীরা। গণহত্যা বন্ধে মানবতার স্বার্থে এ যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া জরুরি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর