শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

চট্টগ্রামও প্রবেশ করছে নতুন এক যুগে

ঢাকার পাশাপাশি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুগে পদার্পণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড বলে বিবেচিত বন্দরনগরীর যানজট নিরসনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়ক পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট দুই লেনের সড়কটির নিত্যসঙ্গী ছিল অসহ যানজট। এক ঘণ্টার সড়ক পার হতে সময় লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। যানজটে পড়ে বিমান মিসের ঘটনাও কম নয়। দুর্ভোগে পড়তে হয় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। গণপরিবহনের যাত্রীদের ভোগান্তিও ভাগ্যের লিখনে পরিণত হয়েছিল। যানজটে জিম্মি হয়ে থাকা এ সড়কে নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ১৪ নভেম্বর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি চালু হলে পতেঙ্গা থেকে মূল শহরে আসতে সময় লাগবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। এক সড়ক ব্যবহার করেই সরাসরি যাতায়াত করা যাবে বিমানবন্দরে। চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কারণে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকায় পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের পুরো কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই তা উদ্বোধন করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ প্রায় ১০ শতাংশ বাকি রয়েছে। যে কারণে ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করবেন। তবে প্রাথমিকভাবে বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস অংশ খুলে দেওয়া হবে। লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কিছু কাজ বাকি থাকায় এখন খুলে দেওয়া হবে না। চট্টগ্রামের গণমানুষের রাজনীতির কিংবদন্তি প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে। তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে প্রকারান্তরে চট্টগ্রামের মানুষকেই সম্মানিত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের যানজট কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অবদান রাখলে সেটি হবে এক বিরাট অর্জন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর